ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ৪ উইকেটে ৫২৭ রানে। জবাবে দিনের বাকি সময় খেলে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৪ রান। ক্যারিবীয়দের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৩৬৩ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ব্যাট করে যাচ্ছেন নাঈম ইসলাম (২৭) ও সাকিব আল হাসান (১৬)।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা প্রথম থেকেই ছিল দ্রুতগতির। ওপেনার তামিম ইকবাল ৭২ রানের একটি অসাধারন ইনিংস খেলেছেন মাত্র ৭১ বলে। দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রামপলের বলে ব্রাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জুয়ায়েদ সিদ্দিকী (৭)। এর পর শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তামিম। নাফীস বেশিদূর যেতে পারেননি, আউট হন ব্যক্তিগত ৩১ রানে। দলীয় ১১৯ রানে তামিমও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে আর কোনো উইকেটের পতন ঘটতে দেননি নাঈম ও সাকিব। অবিচ্ছিন্ন ৪৫ রানের জুটি করে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের সাহস জোগাচ্ছেন তাঁরা।
ফলোঅন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরো ১৬৩ রান
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৪ উইকেটে ৫২৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে সফরকারি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৩৬১ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চন্দরপল ১২৩ ও রামদিন ৫২ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন।
সকালে উইকেট থেকে স্বাগতিক বোলাররা একটু সহয়তা পেলেও চন্দরপল ও রামদিনের কোনো অসুবিধা হয়নি, সে সময়ে ৫৫ রান যোগ করেন তারা। এরপর মাইলফলকে পৌঁছানোর সম্ভাবনায় দুজনই নিজেদের একটু গুটিয়ে নেন। মধ্যাহ্ন-বিরতির আগে শেষ ঘন্টায় যোগ করেন আরো ২১ রান।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই শতকে পৌঁছান রামদিন। এটি তার তৃতীয় শতক। তিন অঙ্কের কোঠায় পৌঁছানোর পর রামদিন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেও দ্বিতীয় দ্বিশতকের সম্ভাবনায় চন্দরপল ছিলেন দারুণ সতর্ক। শেষ পর্যন্ত চা-বিরতির কিছুক্ষণ আগে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি। তার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে অতিথিরা। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রানে অপরাজিত থাকেন চন্দরপল।
২৩৬ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১২৬ রানে অপরাজিত থাকেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রামদিন।