জামায়াতের হরতাল আভাস!

জামায়াতের হরতাল আভাস!

গতকাল সোমবার ১৮ দলীয় জোটের গণমিছিল শেষে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারকে গ্রেফতারের পর হরতালের বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে ঢাকাসহ সারাদেশে হরতালের ডাক দিতে যাচ্ছে জামায়াত।

জামায়াত- শিবিবের বিভিন্ন সূত্র, মহানগর ও কেন্দ্রের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর (বুধ অথবা বৃহষ্পতিবার) দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিতে পারে জামায়াত। এরই টেস্ট কেস হিসেবে সোমবার জয়পুরহাটে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় স্থানীয় শিবির।

জয়পুরহাটের হরতালে সরকার ও প্রশাসনের সংযত আচরণও তাদের দেশব্যাপী হরতাল দিতে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
তবে জামায়াতের অপর এক সূত্র বলছে, এ সপ্তাহে নাকি পরের সপ্তাহে হরতাল দেওয়া হবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে দলের হাউকমান্ডে। সেক্ষেত্রে আগামী ২২ নভেম্বর নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের পরও এ হরতালের ঘোষণা আসতে পারে। তবে এ মাসেই হরতাল ও অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত বলেই দাবি জামায়াত সূত্রের।

দলীয় সূত্রমতে, ১০ নভেম্বরের আগেই হরতাল দেওয়ার প্রস্ততি ছিল জামায়াতের। কিন্তু ৪ ও ৫ নভেম্বর সারাদেশে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সঙঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের পর তারা ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। এখন এসব মামলায় গ্রেফতার হওয়াদের মুক্তি ও মামলায় অভিযুক্তদের জামিন করানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে দলের হাইকমান্ড।

এ পরিস্থিতি সামলে আরো কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছে তারা। নেতা-কর্মীদের রাস্তায় নামতে না দেওয়ায় এখন চরম বিক্ষুব্ধ অবস্থা তাদের। সরকারের কঠোর অবস্থান অব্যাহত থাকায় এ ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়ে কঠোর কর্মসূচির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেই আভাস দিচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমির আব্দুল হালিম বলেন, সরকার জামায়াতের পিঠ অনেকটাই দেওয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার অধিকারটুকুও দিচ্ছে না। সরকারের এই অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় আচরণ বন্ধ না করলে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি যা যা আছে সবই দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ রাজনীতি