ঝটিকা হামলায় বেশ ক’জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হওয়ার জেরে ১৬ শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে তেজগাঁর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক শিবিরের ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের কারওয়ান অভিমুখী রাস্তায় হঠাৎ করেই পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে শিবির। দ্রুত তা কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারার মোড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। এ সময় আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদের গাড়িও হামলার কবলে পড়ে।
তবে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, ঝটিকা হামলায় আহতদের মধ্যে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত নায়েক শহীদুল ইসলাম শহীদ (ব্যাচ নম্বর- ১৩৮৫৮) ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত কনস্টেবল মোহাম্মদ শাহীনকে (ব্যাচ নম্বর ২৪১৩০) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়েছে। অপর এক সার্জেন্টকে ভর্তি করা হয়েছে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে।
এছাড়া আহত হয়েছেন আইনমন্ত্রীর প্রটোকলের এক সদস্য।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বের হওয়া শিবিরের এক ঝটিকা মিছিল থেকে এ হামলা চালানো হয়। মাত্র মিনিট পনোরো সময়ের এ ঝটিকা হামলায় কয়েকশ’ শিবির কর্মী অংশ নেয়।
এ সময় ১০/১২ জন পুলিশের একটি দল রাস্তার পার্শ্ববর্তী টায়ারের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও শিবির কর্মীরা তাদের আক্রমণ করে।
কলাবাগান থানার ওসি এনামুল হক জানান, বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জামায়াত-শিবিরের একটি মিছিল হঠাৎ করে কারওয়ান বাজার থেকে বের হয়ে সার্ক ফোয়ারার কাছে দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্টের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ওই সার্জেন্টের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে কারওয়ানবাজার মোড়ে অতিরিক্তি পুলিশ এলে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্র জানায়, হামলার পর শিবির কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য রাজধানীর বিভন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।