সিলেটে নাশকতার পরিকল্পনা জামায়াতের

অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অবরোধের পর হরতালের কর্মসূচি দেবে জামায়াত। শিগগিরই ঢাকা থেকে ঘোষণা করা হবে অবরোধ। এরপরে দেওয়া হবে হরতাল। এজন্য সিলেটে নাশকতার বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে গোপন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে দলটি। সিলেট থেকে দেশব্যাপী নাশকতা শুরু হবে।

পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে পরে ঢাকায় মারা যাওয়া শিবির কর্মী বদিউজ্জামানের দোয়া মাহফিলে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের শিবির নেতারা দলীয় কর্মীদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে শিবিরের দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

দোয়া মাহফিলে জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী ফখরুল ইসলাম, শিবিরের সিলেট মহানগর সভাপতি আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্রমতে, দোয়া মাহফিলের আড়ালে শিবির জনশক্তিরও সমাবেশ ঘটিয়েছে। তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে এরকম কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

শিবির সূত্র জানায়, যে কোনো কর্মসূচিতে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামতে জামায়াত বিশেষ বাহিনী হিসেবে শিবিরের একটি প্রশিক্ষিত দলকে প্রস্তুত রেখেছে। এরইমধ্যে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা মুখোমুখি সংঘর্ষ মোকাবেলা করে শিবিরের প্রশিক্ষিত দলটি পুলিশের কৌশল আয়ত্ত করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিবিরের সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কেন্দ্র ঘোষিত যে কোনো কর্মসূচি সিলেটে পালিত হবে। এখানে গোপন কোনো কর্মসূচি নেই।”

তবে “দোয়া মাহফিলে শিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তি উপস্থিত ছিলেন” উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘শিবিরের প্রত্যেকটি কর্মী জালিম সরকার হটাতে কর্মসূচি পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”

অন্যদিকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঝটিকা মিছিল করে জামায়াত। মহানগর জামায়াতের অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফখরূল ইসলাম, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবদুর রব, আনোয়ার আলী, শফিকুল আমলম শফিক প্রমুখ ওই মিছিলে বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানা পুলিশের ওসি আতাউর রহমান বলেন, “নগরীর আম্বরখানা এলাকায় জামায়াত মিছিল করছে শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কিন্তু ততক্ষণে জামায়াত কর্মীরা মিছিল-সমাবেশ শেষ করে পালিয়ে যায়।”

তবে তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

রাজনীতি