প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশে জনসংখ্যা উচ্চ হারে বাড়লেও পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে প্রজনন হার এখন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
সোমবার সকালে হোটেল রূপসী বাংলার উইন্টার গার্ডেনে পার্টনারস ইন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিপিডি) সচিবালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক।
শেখ হাসিনা বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে ২০১৫ সাল নাগাদ দেশে জনসংখ্যার উর্বরতার হার তত্ত্বীয়ভাবে ‘প্রতিস্থাপন পর্যায়ে’ নেমে আসবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে দেশে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। এই বিশাল যুব শ্রেণী বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে। মোট কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং যুব নির্ভরশীলতা হ্রাস পাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম পূর্ণবয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেশ উপকৃত হবে।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের মাধ্যমে প্রজনন এবং পরিবার কল্যাণে বাংলাদেশ শিগগিরই কাঙিক্ষত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৭৫ সালে দেশে যেখানে জন্মনিরোধক ব্যবহারকারীর হার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল, ২০১১ সালে তা ৬১ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এতে করে ১৯৭৪ সালের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬১ শতাংশ থেকে কমে ২০১১ সালে হয়েছে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০০১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার যেখানে প্রতি লাখে ৩২২ জন ছিল, ২০১০ সালে তা কমে ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকায় পিপিডির সচিবালয় স্থাপন এবং এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার সব ধরনের লজিস্টিক এবং কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এ সচিবালয় নির্মাণকাজ শুরুর পর স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নির্মাণ কাজের জন্য আরও ৫০ হাজার ডলার বরাদ্দ করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান।
অনুষ্ঠানে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এবং পিপিডি বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম নবী আযাদ, চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের উপমন্ত্রী চেন লি, পিপিডি বোর্ডের সেক্রেটারি ও. কোইউগি এবং গাম্বিয়ার নারী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ইসাতু সেইডিসহ সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।