এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্ তেরেসা খো সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন। দুপুর ২টায় এডিবি’র ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল সিএসই’র প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছলে সিএসই সভাপতি তাদের স্বাগত জানান।
সিএসই সভাপতি আল মারুফ করপোরেট গভর্নেন্সকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদানের ক্ষেত্রে এডিবির সহযোগিতা চান। এছাড়া এডিবি দেশে-বিদেশে যখন বিভিন্ন ডায়ালগের আয়োজন করে থাকে তখন সিএসইকে এর সঙ্গে অর্ন্তভূক্ত করারও আহবান জানান। এতে করে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এডিবি’র বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে সামিল হয়ে সিএসই একত্রে কাজ করতে পারবে। এছাড়া সিএসই সভাপতি পুঁজিবাজার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হওয়ার পর ডেরিভেটিবস্ ও মার্কেট ইনটিগ্রেশন চালু করার ক্ষেত্রে এডিবির সহযোগিতা আশা করেন। মার্কেট ইনটিগ্রেশন চালু হলে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী তার শেয়ারের ন্যায্য মূল্য যে কোনো স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবে। সিএসই’র ডিপোজিটরী লাইব্রেরী আরো উন্নত করা ছাড়াও অনলাইন লাইব্রেরী করার বিষয়েও সভাপতি এডিবির সহোযোগিতা চান। উল্লেখ্য, সিএসইতে ডিপোজিটরী লাইব্রেরী করার জন্য ১৯৯৮ সালে সিএসই এবং এডিবি’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
পরিদর্শন শেষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্ তেরেসা খো সিএসইকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এবং এসব বিষয় কার্যকর করার জন্য তিনি এডিবির হেড-কোয়ার্টার ম্যানিলাতে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি সিএসই’র সঙ্গে আবারো সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সিএসই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সাজিদ হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং তিনি এডিবির সদস্যদের সামনে করপোরেট প্রেজেনটেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে সিএসই’র সহসভাপতি এমকেএম মহিউদ্দিন এডিবির সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ডেরিভেটিবস্ মার্কেট প্রবর্তনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে জোর দেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএসই’র সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক ড: আব্দুল কে এ মুবিন, এ এস এম নাঈম এফসিএ, বিজন চক্রবর্তী, শাহজাদা মাহমুদ চৌধুরী ও জয়েদী সাত্তার।