বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই – গোলাম মোয়াজ্জেম

বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই – গোলাম মোয়াজ্জেম

 

মহাধসের পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনো পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসেনি। মাঝে মধ্যে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হলেও তা স্থায়ী হয়নি। বরং উত্থানের তুলনায় পতন অধিক স্থায়ীত্ব পেয়েছে। চলতি বছর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৪ থেকে ৫ হাজার পয়েন্টের ঘরে ওঠানামা করেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করলেও সেটাকে বাজারের ভারসাম্য হিসাবে দেখছেন এবং এতে হতাশ হওয়ার কিছু নাই বলে জানান সিপিডির ঊর্ধ্বতন কর্র্মকর্তা ও বাজার বিশ্লেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।

তার মতে, পুঁজিবাজার চলতি অর্থবছরে দুইবার স্থিতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও তা স্থায়ীত্ব পায়নি। তবে আগের মতো একদিনে ৩শ পয়েন্ট পড়তে বা উঠতে দেখা যায় না। এছাড়া একটি নির্দিষ্ট সীমারেখার মধ্যে বাজার রয়েছে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে তিনি মনে করেন। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এতে পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে আরো সময় লাগবে বলে মনে করছেন তিনি।

২০০৯ ও ২০১০ সালে অনেক কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসার আগে নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রয় করেছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া অমনিবাস অ্যাকাউন্টে অনেক অনিয়ম হয়েছে আর এর ফলে অনেক বিনিয়োগকারী ক্ষতির কবলে পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

২০০৯ সালে পুঁজিবাজার যখন টানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল তখন ‘জেড’ ক্যাটাগরির কিছু কোম্পানির শেয়ার দর প্রায় ৩শ ভাগ বাড়ায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কর্তৃপক্ষ যথাযথ দায়িত্ব পালন না করার কারনে এমন হয়েছে বলে জানান গোলাম মোয়াজ্জেম। এছাড়া ওই সময় অধিকাংশ কোম্পানির প্রসপেক্টাস স্বচ্ছতার দিক থেকে দূর্বল ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি। আর বাজারের পতনে কতিপয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মূখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে জানান সিপিডির এ কর্র্মকর্তা।

এদিকে কোম্পানিগুলো আইপিওতে আসার আগে শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য যে কারণ বলে, সে কারণে ব্যবহার হয় না বলে অভিযোগ করেন সিপিডির এই কর্র্মকর্তা। তার মতে, এক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জ এ বিষয়ে এসইসিকে অবহিত করতে পারলেও তারা করে না। এছাড়া এসইসি তাদের দায়িত্ব পালন করে না বলে উল্লেখ করেন ড. গোলাম মোয়াজ্জেম।

অর্থ বাণিজ্য