গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরাইলি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো ৩০ জন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গাজা সীমান্তের অদূরে একটি ইসরাইলি সামরিক জীপে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার জন সৈন্য আহত হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। বিবিসির খবরে একথা বলা হয়।
রবিবার উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে গাজায় ২২ দিনব্যাপী ইসরাইলি হামলার পর এটাই তাদের মধ্যে প্রথম গুরুতর সংঘর্ষ। শনিবার মধ্যরাতের পর উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া শহরের কাছে ইসরাইলি বিমান হামলায় একজন হামাস যোদ্ধা নিহত এবং আরো দু’জন আহত হয়। নিহত যোদ্ধার নাম মোহাম্মদ শাবিকানি। ২০ বছরের শাবিকানি সশস্ত্র ইসলামী জিহাদের সদস্য। শনিবার রাতে ইসরাইলি বিমান বাহিনী গাজাসিটির উত্তর ও পূর্বদিকে বোমাবর্ষণ করলে আরো দু’জন ফিলিস্তিনি আহত হয়। রবিবার সকালে উদ্ধারকর্মীরা ইসলামী জিহাদের আরেকজন যোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। তার নাম মোহাম্মদ আবেদ। ইসলামী জিহাদের এই যোদ্ধা জাবালিয়ার পূর্বদিকে আরেকটি পৃথক ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়। এ নিয়ে ১২ ঘণ্টায় নিহতদের সংখ্যা ৬ জনে উন্নীত হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, শনিবার রাতে তারা একটি অস্ত্র মজুদ, একটি অস্ত্র নির্মাণকারী স্থাপনা এবং দু’টি রকেট উৎক্ষেপণ মঞ্চসহ ৭টি পৃথক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
গাজা থেকে ইসরাইলি সীমান্ত শহর সাদারাতে ৩৬ টি রকেট নিক্ষেপ করা হলে ৪ জন আহত হয়। বামপন্থী পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) ইসরাইলি সামরিক জীপে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে আরেকটি ফিলিস্তিনি গ্রুপ পপুলার রেজিট্যান্স কমিটি এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, গাজায় হামলার জন্য ইহুদী দুশমনদের চরম মূল্য দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক