যে সূত্র ধরে সিআইএ’র পরিচালক জে. প্যাট্রিয়াসের পতন

যে সূত্র ধরে সিআইএ’র পরিচালক জে. প্যাট্রিয়াসের পতন

বিশ্বের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র পরিচালক সাবেক চার তারকা জেনারেল ডেডিভ প্যাট্রিয়াসের পদত্যাগ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। তার পদত্যাগকে একটি নক্ষত্রের পতনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। তিনি ছিলেন মার্কিন  সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন জেনারেল।

প্যাট্রিয়াসের জীবনীকার মার্কিন সেনাবাহিনীর সামরিক মহিলা গ্রাজুয়েট ও রিজার্ভ অফিসার পাউলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে তার বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় তিনি শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন। তবে কিভাবে জেনারেল প্যাট্রিয়াসের বিয়ে বহির্ভূত গোপনীয় সম্পর্ক ফাঁস হলো তাই প্রশ্ন। জেনারেল ডেভিড প্যাট্রিয়াসের জি-মেইল একাউন্ট পরীক্ষা করলে এ গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যায়। বিবিসির খবরে একথা বলা হয়।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মিসেস ব্রডওয়েল বিব্রতকর ই-মেইল পাঠিয়ে অন্য আরেকটি মহিলাকে হয়রানি করেছেন এমন একটি অভিযোগ পাওয়ার পর ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সাত মাস আগে ব্রডওয়েলের ই-মেইল তদন্ত করতে শুরু করে। তখনি কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়। এফবিআই মিসেস পাউলা ব্রডওয়েলের ই-মেইল পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখতে পায় যে, তার সঙ্গে ই-মেইলে জেনারেল প্যাট্রিয়াসের নিয়মিত কথাবার্তা হতো।
পাউলা ব্রডওয়েলের ফেসবুকে জেনারেল প্যাট্রিয়াসের সঙ্গে হলিউড অভিনেত্রী এঞ্জেলিনা জোলির একটি ছবি দেখে এফবিআই বিস্মিত হয়ে যায়। ছবিটি তোলা হয়েছিল সিআইএ সদরদপ্তরের সপ্তম তলায়। সিআইএ’র অনুমোদিত চিত্রগ্রাহক ছাড়া সেখানে অন্য কাউকে ছবি তোলার অনুমতি দেয়া হয় না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্যাট্রিয়াস পাউলার কাছে ছবিটি হস্তান্তর করেন। এই সূত্র ধরে এফবিআই প্যাট্রিয়াসের ই-মেইল তদন্ত করতে শুরু করে। তারপর সব ফাঁস হয়ে যায়। পাউলা ব্রডওয়েলের সঙ্গে ই-মেইলে বার্তা বিনিময়ের সময় জেনারেল প্যাট্রিয়াস কোনো গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন তা নিয়ে এফবিআই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠে। এ সংস্থার এজেন্টরা সরাসরি প্যাট্রিয়াসের মুখোমুখি হয়। ঘটনা জানানো হয় এফবিআইয়ের ডিরেক্টর রবার্ট মুলারকে এবং হোয়াইট হাউসের এটর্নি জেনারেল এরিক  হোল্ডারকে।

যে মহিলার অভিযোগের সূত্র ধরে এফবিআই তদন্ত করতে শুরু করে সেই মহিলার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এ মহিলা প্যাট্রিয়াস অথবা পাউলা কারো পরিবারের সদস্য নন, তিনি সরকারি চাকরিজীবীও নন। ৬০ বছরের বৃদ্ধ প্যাট্র্রিয়াসের জীবনে ঘনিষ্ঠ স্থান দখলে এ অজ্ঞাতনামা মহিলা ও পাউলা ব্রডওয়েলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছিল। দু’সন্তানের জননী ৪০ বছরের ব্রডওয়েল ‘অল ইন: দ্য এডুকেশন অব জেনারেল ডেভিড প্যাট্রিয়াস’ শিরোনামে জীবনীমূলক বইটি লিখতে এক বছর প্যাট্রিয়াসের সান্নিধ্যে ছিলেন। তখনি তাদের মধ্যে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে।

আন্তর্জাতিক