প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে দারুণ রোমাঞ্চিত শাহরিয়ার নাফীস। দীর্ঘ বিরতিকে মাথায় না রেখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় তার।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকেদর নাফীস বলেন, “সব বিতর্ক ভুল বোঝাবুঝিকে পেছনে ফেলে প্রায় এক বছর পর জাতীয় দলে ফিরে আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। এটা আমার জন্য একটি সুযোগ এবং আমি তা কাজে লাগাতে চাই।”
“এগারো মাসের বিরতি খুব খুব হতাশাজনক। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে আমরা ভালো করেছিলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। ছন্দে থাকার সময় বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও বড়ে,” যোগ করেন তিনি।
২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, “গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। ৮/৯টা ওয়ানডেতে ৪/৫টা ভালো ইনিংস খেলেছি। টেস্টে কয়েকটা ভালো ইনিংস খেলেছি, রান পেয়েছি। সে সময়ে নিয়মিতই ছিলাম, এরপর তো বড় একটা গ্যাপ হয়ে গেল।”
“এর মধ্যে কেবল একটা ওয়ানডে সিরিজ মিস করেছি। ২০০৬ সালের পর থেকে টি-টোয়েন্টি খেলি নি। তাই জাতীয় দলের হয়ে আমার কোনো ম্যাচ ছিল না। ‘এ’ দলের কিছু ম্যাচ ছিল। সেখানে খুব বড় কোনো ইনিংস না খেললেও খারাপও করিনি,” যোগ করেন তিনি।
টেস্টের এই লম্বা বিরতিতে নিজের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “এর মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। নিজের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছি। বিশেষ করে ফিল্ডিং ও ফিটনেস নিয়ে বেশি কাজ করেছি।”
“নতুন হিসেবে আমি যখন এসেছিলাম তখন ৩/৪ জন সিনিয়র ক্রিকেটারের দলে জায়গা অনিশ্চিত ছিল। এখন আমাকেও সেই পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। আমি জানি, দলে থাকতে হলে পারফরম করতেই হবে। এখন প্রতিটি জায়গার জন্য ২/৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো একটা ব্যাপার,” যোগ করেন নাফীস।
অতিথি দলের সব বোলারকে সমীহ করার এবং প্রত্যেকটি দল মনযোগ দিয়ে খেলার পরামর্শ দিয়ে নাফীস বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ দারুণ ছন্দে আছে। রবি রামপলের নেতৃত্বে একটি আক্রমণাত্মক পেস বোলিং ইউনিট রয়েছে। তাদের স্পিনাররাও ভালো মানের। কাউকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।”
ফিদেল এডওয়ার্ডের বাউন্সারের কথা মনে করিয়ে দিলে নাফীস বলেন, “বাউন্সার ক্রিকেটের অংশ, গায়ে লাগতেই পারে। ফিদেলের চেয়ে চেয়ে বাজেভারে একটা লেগেছিল শাহাদাতের একটি বাউন্সার। সেটা অনেক বেশি ভুগিয়েছে।”