পুলিশকে সহায়তা করতে যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে পুলিশ পরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে মোকাবিলা করেছে। আগামী দিনগুলোতে সবাই মিলে পুলিশকে সহায়তা করুন। যাতে প্রমাণ করতে পারি, পুলিশ জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকারীদের প্রশ্রয় দেয় না।’’
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জামায়াত-শিবিরের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মহিউদ্দিন খান আলমগীর খালেদা জিয়ার রামু সফর সর্ম্পকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া স্থানীয় জামায়াত নেতাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধদের কাছে ‘কুমিরের অশ্রæ’ ফেলতে (মেকি কান্না কাঁদতে) গেছেন।‘
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত রামুতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এখন তারা সেখানে সমবেদনা জানাতে গিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছেন, তারা কত বড় বেঈমান।‘
সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগের ভয়ে গর্তে ঢুকে পড়েছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় এমনভাবে কর্মসূচি দিতে হবে যাতে গর্তে ঢুকে পড়া জামায়াত-শিবির কর্মীরা রাজপথে আসতে না পারে।‘
‘খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের উকিল হয়ে ভারত গিয়েছেন’ এমন অভিযোগ করে হানিফ বলেন, ‘বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই।‘
‘খালেদা জিয়ার ফেনী সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণকারীরা ছাত্রদল, যুবদলের’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এ বিষয়ে সরকারকে দায়ী করে মিথ্যাচার করছে। গÐগোলকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। তবে তখন আবার বিএনপি কিছু বলতে পারবে না।‘
খালেদা জিয়ার রামু সফর সর্ম্পকে বলতে গিয়ে খালেদা জিয়াকে কুম্ভকর্ণের সঙ্গে তুলনা করে হানিফ বলেন, ‘কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙ্গে ৭ দিন, ১ মাস পরে। আর খালেদা জিয়ার ঘুম ভেঙ্গেছে দেড় মাস পরে। সরকার যখন ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধদের পুর্নবাসন শেষ করেছে তখন খালেদা জিয়া সেখানে গেছেন নাটক করতে। এজন্য মানুষ খালেদা জিয়াকে ধিক্কার জানাবে।‘
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে খোঁচা দিলে আওয়ামী লীগ মোটা হয়। যখনই দুষ্টুচক্র নৈরাজ্য চালায় তখনই আওয়ামী লীগ সতেজ হয়, সক্রিয় হয় অন্যায়ের প্রতিরোধ করার জন্য।‘
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা একে এম এনামুল হক শামীম, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল এমপি, অ্যাডভোকেট সানজিদা খাতুন এমপি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ, ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, প্রচার সম্পাদক আবদুল হক সবুজ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াছ হোসাইন হেলালী প্রমুখ।
প্রমুখ।