শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আজমকে গ্রেফতারের পর চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে থানায়-থানায় মিছিল, সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ।
এছাড়া জামায়াত-শিবিরকে কোণঠাসা করতে ওয়ার্ডে, ওয়ার্ডে ছাত্র ও যুব ব্রিগেড গঠন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে নগরীর জেলা পরিষদ চত্বরে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গোলাম আজমকে গ্রেফতারের পর জামায়াত-শিবির বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলাসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের মাটিতে তাদের কোনো নাশকতা করতে দেয়া হবে না। এজন্য আমরা থানায়, থানায় গণমিছিল, সমাবেশ করব।
আগামী ১৮ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানায় সমাবেশ হবে বলে জানান তিনি।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা দেশের কলঙ্ক। তাদের বিচার না করলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশে ৪০ বছর পর কুলাঙ্গারদের বিচার শুরু হয়েছে। চারশ’ বছর সময় লাগলেও সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।
নেতারা বলেন, গোলাম আজমকে গ্রেফতারের পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। চট্টগ্রামে তারা চোরের মতো ঝটিকা মিছিল করে পালাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ জামায়াত-শিবিরের উদ্দেশে বলেন, আপনারা চোরের মতো নয়। ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামুন। আওয়ামী লীগ রাজপথে আপনাদের মোকাবিলা করতে চায়।
উল্লেখ্য, গোলাম আজমকে গ্রেফতারের পর থেকে চট্টগ্রামে জামায়াত-শিবিরের সম্ভাব্য নাশকতা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ প্রশাসন।
গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের মিছিল, সমাবেশের আশঙ্কায় নগরীর বিভিন্ন মসজিদে কঠোর পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। তবে জামায়াত-শিবির ওইদিন কর্মসূচি পালনে বিরত থাকে।
কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সুজন প্রমুখ।