পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানীর রেকর্ড পরিমাণ আয় বৃদ্ধির গুজবে কোম্পানীগুলির মূল্যে উর্ধমূখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচেছ। আয় বৃদ্ধির খবরে কোম্পানীগুলির শেয়ারের ভলিউমও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। কোম্পানীগুলি হলো: গ্রামীণ ফোন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সামিট পাওয়ার, মবিল যমুনা , যমুনা অয়েল,কেপিসিএল ও তিতাস গ্যাস।
গ্রামীণ ফোন গত বছর ১ম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ২.১২ টাকা। বাজারে এই বছর ১ম প্রান্তিকে কোম্পানীটি শেয়ার প্রতি ৪.৭০ টাকা আয় করেছে বলে গুজব রয়েছে। গত বছর মাঝামাঝি সময়ে এই কোম্পানী ১৪০ শতাংশ মধ্যবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। এই বছর কোম্পানীটি ২০০ শতাংশ মধ্যবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করতে যাচ্ছে বলে বাজারে জোর গুজব রয়েছে।
কেপিসিএল কোম্পানি এবছরের ইপিএস ১.২০ পয়সা আসছে বলে বাজার জোর গুজব রয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটি বিদেশ থেকে বড় অংকের লোন পাচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর এ কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দর ও ভলিউম বাড়ছে। এ ব্যাপারে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য বিধায় কথা বলতে রাজি হননি।
যমুনা অয়েল গত অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৫.৫৪ টাকা। চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৭.০০ টাকারও বেশী আয় হওয়ার গুজব আজ সত্যি হয়েছে। কোম্পানিটির ৩য় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম গত অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছিল ৩.৬৬ টাকা। চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় ৬.০০ টাকারও বেশী হতে পারে বলে গুজব রয়েছে।
সামিট পাওয়ার গত বছরের ১ম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ০.৮৩ টাকা আয় করেছিল। এই বছর ১ম প্রান্তিকে কোম্পানীটির শেয়ার প্রতি ১.৪০ টাকা আয় করেছে বলে গুজব রয়েছে। এছাড়া, এই কোম্পানীর মালিকানাধীন সামিট পূর্বাঞ্চল অধিক প্রিমিয়ামে আইপিও শেয়ার ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে। সামিট পূর্বাঞ্চলের আইপিও শেয়ারের প্রিমিয়াম বাবদ সামিট পাওয়ারের বাড়তি আয় হওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে বলেও আলোচনা চলছে।
মবিল যমুনা গত বছর ১ম প্রান্তিকের তুলনায় এই বছর ১ম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি বেশী আয় করেছে বলে বাজারে গুজব রয়েছে। এছাড়া, তিতাস গ্যাসও শেয়ার প্রতি বেশী আয় করেছে বলে গুজব রয়েছে।
এসব গুজব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসইসির নির্বাহী পরিচালক মো: সাইফুর রহমান বলেন, গুজব শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব চক্র সর্ম্পকে বিনিয়োগকারীদের সজাগ থাকতে হবে। কারো কাছে এরকম কোন তথ্য থাকলে কমিশনকে জানানো হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।