নিয়ম ভেঙ্গে প্রাইম ফাইন্যাসের ঋণ

নিয়ম ভেঙ্গে প্রাইম ফাইন্যাসের ঋণ

 

নিয়ম ভেঙ্গে একের পর এক নগদ ও বিভিন্ন  ঋণ দেয়ার মধ্যে নিমজ্জিত রয়েছে  প্রাইম ফাইন্যান্সে অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ২০১১ সালের ২৫ ডিসেম্বর ১৫ শতাংশ হারে ১৫ কোটি টাকার ঋণ নেয়। পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে ওই পুরো টাকাই পিএফআই সিকিউটিজ হাউসকে ঋণ দেয় প্রাইম ফিনান্স। পিএফআই সিকিউরিটজ ওই ১৫ কোটি টাকা সাড়ে ১৫ শতাংশ হারে ঋণ নিয়ে ১৩ শতাংশ হারে নিয়ম বহিভূর্তভাবে বেনামে থাকা পরিচালক এমএ খালেকের কাছে বাণিজ্যিক ঋণ বিতরণ করেছে। এমএ খালেক ওই টাকা  থেকে ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাতটি চেকের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকে প্রাইম ফাইনান্সের রক্ষিত একাউন্টে (যার নম্বর১১৬৪৯) জমা করে।

এছাড়াও প্রাইম ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে বেনামে থাকা পরিচালক এম এ খালেক তার মেয়ের বিবাহ উপলক্ষে নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এক্ষেত্রে দুটি চেকের মাধ্যমে ওই টাকা নিয়েছেন তিনি। চেক দুটির নম্বর০১০৭৭২০ এবং ০১৩৩৪০৬। প্রাইম ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে নিয়েছেন ৫ লাখ টাকা। এছাড়া ফারইস্ট ফাইনান্স থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। এ সবকিছুই করা হয়েছে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের অগোচরে।

এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি থেকে নগদ ঋণ নিয়েছেন এমএ খালেক। তবে এক্ষেত্রে নিজের নামে নয়। নিয়েছেন ম্যাকসন বিডি নামের এক প্রতিষ্ঠানের নামে। প্রাইম ফিনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে ২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি ১ লাখ টাকার ঋণ নিয়েছেন তিনি। যার চেক নম্বর০১৩২৬৩৫। ৬এপ্রিল ২০ হাজার টাকার ঋণ নিয়েছেন, যার চেক নম্বর০১৩৩২১৯। ১৪ জুন ৫০ হাজার টাকার ঋণ নিয়েছেন, যার চেক নম্বর ০২০২৬১৩।

অর্থ বাণিজ্য