প্রিমিয়াম না থাকায় মৌলভিবাজারে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিওতে তুলনামুলক বেশি সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে গতকাল দেখা যায়, মৌলভীবাজারের দি সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘ লাইন ধরে আবেদন ফরম জমা দিয়েছেন। সকাল থেকে ব্যাংকগুলোতে আইপিও আবেদনকারীদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
দি সিটি ব্যাংকে আবেদন জমা দিতে আসা বিনিয়োগকারী রিপন, সুহেল এবং বেলাল বলেন, শেয়ারবাজারে আবারো ডাকাতি শুরু হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা থাকায় আবার নতুন করে বিনিয়োগকারীরা সিকিউরিটিজ হাউজে এসে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন। কিন্তু নতুন করে দর পতন শুরু হওয়ায় সবাই আইপিওর দিকে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বিনিয়োগকারী ইমন বলেন, বাজারে নতুন করে দরপতনে বিনিয়োগকারীদের অনেক লোকসান দিতে হয়েছে। লোকসান দিতে দিতে আমাদের সব টাকা শেষ হয়ে গেছে। কিছু দিন পুঁজিবাজার স্বাভাবিক থাকায় অনেক পোর্টফলিও বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু নতুন করে দর পতন শুরু হওয়ায় সেগুলো আবারো মাইনাসে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলথে থাকলে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। সংসার চালাতে তাই আইপিওর দিকে ঝুঁকছেন জেলার অনেক বিনিয়োগকারী।
বিনিয়োগকারী সুহেল বলেন, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম না নেয়ায় আইপিও জমা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে না। ফলে আইপিওতে অংশগ্রহণ বাড়ছে। আবার অনেকেই ভাবছেন এই কোম্পানি মার্কেটে আসার সময় শেয়ার দর ফেস ভ্যালুর অনেক উপরে থাকবে। যে কারণে সানলাইফের আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের সাড়া তুলনামুলক বেশি।
অন্য বিনিয়োগকারীরা প্রিমিয়ামসহ কোনো কোম্পানিকে অনুমোদন না দেয়ায় জন্য এসইসির প্রতি অনুরোধ জানান। দি সিটি ব্যাংকের ম্যানেজার হুমায়ুন আহমদ জানান, এ কোম্পানির প্রিমিয়াম না থাকায় হবিগঞ্জ, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলা থেকে অনেক বিনিয়োগকারী আইপিও জমা দিতে আসছেন। তিনি আরো জানান, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমাদের ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই আইপিও ফরম জমা দিচ্ছেন। এতে আমাদের ব্যাংকে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।