ওবামার জয় বাণিজ্যক সম্ভাবনা বেঁচে থাকলো: বাণিজ্যমন্ত্রী

ওবামার জয় বাণিজ্যক সম্ভাবনা বেঁচে থাকলো: বাণিজ্যমন্ত্রী

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা বেঁচে থাকলো বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের।

বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড অ্যাকাউনটেন্টস বাংলাদেশ (আইসিবিএ) আয়োজিত পলিসি নোট প্রেজেন্টেশন অন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারসিপ ফর ইমপ্রুভড অডিট কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, “ওবামা নির্বাচিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। কারণ নানা কারণে বাংলাদেশের মানুষ ওবামাকে পছন্দ করে।”

এছাড়া যুক্তারাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ যে সব সুবিধা চেয়েছিল তা আদায় সহজ হতে পারে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন হলেও পলিসির খুব বেশি পরিবর্তন হয় না বলে মন্তব্য করেন কাদের।

তিনি আরো বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রাপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোটা দাবি করা হলেও তা পাওয়া যায়নি। তবে আশা করছি এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”

আলোচনা সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তৃতা করেন আইসিএবি’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এরপর আলোচ্য বিষয়ে ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিষ্ট সুরাইয়া জান্নাত খান।

মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের প্রাইভেট চটার্ড অ্যাকাউন্টেসির ও পাবলিক অ্যাকাউন্টেসির চর্চা বিষয়টি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে অ্যাকাউন্টিং-এ কি কি দূর্বলতা রয়েছে সেটা তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন, বিশ্ব ব্যাংকের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সালমান জায়েদি, আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি এম এ বারি, ভারতের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’র ডেপুটি ডিরেক্টর বিবি পান্ডে, আইবিএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সালাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সমন্বয়হীনতার কারণেই হলমার্কের মত বড় ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কোনো ধরনের সিস্টেম কাজ করেনি। পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় মিলে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”

এসময় আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি এম এ বারিস সিএজি’র সমালোচনা করে বলেন, “সিএজিতে অডিটরদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নেই। একই সঙ্গে অডিটরদের একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে কাজ করতে হয়।”

প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। তাই সিএজি যে সব প্রতিষ্ঠান অডিট করে সে প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নীরিক্ষা করা হলে অনেক বড় বড় অনিয়ম বেড়িয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থ বাণিজ্য বাংলাদেশ রাজনীতি