একটু যেন দেরিই হলো! তবে ঠিকই রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন আর্লিং হালান্ড। ম্যাচের হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে ১০০ গোলে অবদান রাখা দ্রুততম খেলোয়াড় তিনি।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে গতকাল রেকর্ডটি গড়েছেন হালান্ড। ব্রাইটনের বিপক্ষে ১১ মিনিটে সফল স্পটকিকে মাইলফলকটি স্পর্শ করেন ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড।
৯৪ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রেখেছেন তিনি। এতে ভেঙে গেছে অ্যালান শিয়েরারে রেকর্ড। ১০০ ম্যাচে ১০০ গোলে অবদান রেখে এত দিন রেকর্ড নিজের কাছে ধরে রেখেছিলেন নিউক্যাসল ও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি।
সেঞ্চুরির অবদানের মধ্যে ৮৪ গোলের বিপরীতে ১৬ অ্যাসিস্ট করেছেন হালান্ড।
তার চেয়ে কম অ্যাসিস্ট করেছেন শুধু হ্যারি কেইন। বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার আগে টটেনহামের হয়ে প্রথম ১০০ গোলের অবদানে ১৩ অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। কেইন সব মিলিয়ে সেঞ্চুরির গোলে অবদান রাখতে খেলেছেন ১২৮ ম্যাচ।
রেকর্ডটা আরো আগেই পেতে পারতেন হালান্ড।
২০২২ সালে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর যেভাবে গোল করছিলেন। অতিমানবীয় পারফরম্যান্স করে প্রথম দুই মৌসুমের গোল্ডেন বুট জিতেছেন তিনি। এ মৌসুমে অবশ্য শীর্ষে থাকা মোহাম্মদ সালাহর থেকে ৬ গোলে পিছিয়ে আছেন। লিভারপুলের ফরোয়ার্ডের ২৭ গোলের বিপরীতে ২১ গোল হালান্ডের। তবে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ১০ গোল করে যেভাবে শুরুটা করেছিলেন তা ধরে রাখতে পারলে সালাহকে এবারও পেছনে তা ফেলতেনই সঙ্গে আরো কম ম্যাচে দ্রুততম ১০০ গোলের অবদান রাখার রেকর্ড গড়তে পারতেন।
গতকাল হালান্ড হাসলেও তার দল অবশ্য হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি। ঘরের মাঠে ব্রাইটনের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। ২-২ গোলের ড্রয়ে আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি সুযোগ পাওয়াটাও তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে ৫ নম্বরে আছে তারা। ৭০ পয়েন্টে লিগ জয়ের আরো কাছে লিভারপুল। অল রেডদের পরেই আছে আর্সেনাল (৫৫), নটিংহাম ফরেস্ট (৫৪) ও চেলসি (৪৯)। চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি সুযোগ পেতে হলে মৌসুম শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থাকতে হবে সিটিকে।