পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের মেঘনা পেট ও মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক কোম্পানি দুইটি আগের বছরের ন্যায় এ বছরও লাভের মুখ দেখতে পারেনি। বরং দিনে দিনে লোকসানের পাল্লা ভারী হওয়ায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে। আর এ ২ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, কোম্পানি দুইটির সম্পদ বলতে এখন কিছুই নাই। যে পরিমাণ সম্পদ আছে তার চেয়ে দায় বেশি। এমতাবস্থায় কোম্পানি যদি বিলোপ করতে হয় তাহলে শেয়ারহোল্ডাররা কিছুই পাবেন না। বরং তাদের কাঁধেও অদৃশ্য ঋণের বোঝা থাকবে।
এ ২ কোম্পানির মধ্যে মেঘনা পেটের আর্থিক হিসাব অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি লোকসান ০.৫৮ টাকা ও শেয়ারপ্রতি দায় ১.০২ টাকা। আর মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার প্রতি লোকসান ৬.৮৮ টাকা ও শেয়ারপ্রতি দায় ১৬.২২ টাকা।
কোম্পানির আর্থিক হিসাব অনুযায়ী মেঘনা পেটের শেয়ারহোল্ডাররা এখন শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর বিপরীতে ১.০২ টাকা করে আর মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ারহোল্ডাররা ১৬.২২ টাকা করে দায়ী।
কোম্পানি দুইটির অবস্থা প্রথম প্রান্তিকে ভালোর দিকে থাকলে শেষ পর্যন্ত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে।
শেয়ারহোল্ডার নিয়ামুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুরুতে ভালো থাকলেও শেষে অনেক খারাপ অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। এখানে পরিচালক বা কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজস থাকতে পারে। তিনি বলেন, কোম্পানি দুইটি’র শেষ প্রান্তিকে এমন কি হয়েছে যার কারণে ১০ টাকার শেয়ারে ৬.৮৮ টাকা ক্ষতি হতে পারে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে পাপ করেছি, আল্লাহ যেনো তা মাফ করে দেয়।
এদিকে কোম্পানির আর্থিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলতে চাইলে কোম্পানি সচিব বলেন, আসলে আমরা কোম্পানির কর্মকর্তা। এক্ষেত্রে তেমন কিছু বলার নেই। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে থাকার কারণে অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে অজানাই থেকে গেল কোম্পানি দুইটি আদৌ উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে কিনা।