দক্ষিণের জনবল দিয়েই চলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ আবু ছাইদ শেখ।
সোমবার দুপুরে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, জনবল সম্পর্কে মন্ত্রণালয়কে এরমধ্যেই জানানো হয়েছে। আপাতত দক্ষিণের জনবল দিয়েই কাজ চলছে। দক্ষিণের জনবল দিয়ে কাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। নতুন নগরভবনে কক্ষ সংকটের কথা বললে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘নতুন নগরভবন রাজধানীর কাওরানবাজারে স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাওরানবাজারের কাঁচা বাজারটি আমিনবাজার, যাত্রাবাড়ী ও মহাখালীতে স্থানান্তরিত করার ফলে সরকারের ৭ দশমিক ৮৬৬১ একর জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকবে যা ভবন নির্মাণের জন্য দারুণ উপযোগী।’ ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনে ১৮টি করে শাখা রয়েছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় এক হাজার। সেই তুলনায় উত্তরের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ৮১, গুলশান এভিনিউয়ের মেয়র ভবনটি স্থান সংকুলানের ক্ষেত্রে একেবারেই অপ্রতুল। উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. নজরুল ইসলামের একান্ত সহকারী মো. হোসেন বলেন , ‘১৭ বছর দক্ষিণে ছিলাম। এখন এসেছি উত্তরে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখানে যারা আছেন সবাই উত্তরের।’ দক্ষিণের গাড়িচালক রানা বলেন, ‘আগে গাড়ি চালিয়েছি দক্ষিণের স্যারের এখন চালাব উত্তরের।’ সরকার ২৯ নভেম্বর সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর ও দক্ষিণ দুটি ভাগে ভাগ করে। উল্লেখ্য, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে উত্তর এবং দক্ষিণ দুইভাগে ভাগ করার পর উত্তরের প্রশাসক জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহা-পরিচালক খোরশেদ আলম এবং দক্ষিণের প্রশাসক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খলিলুর রহমানকে দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া দেওয়া হয়। |
||