এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশের জোট ‘আসেম’র সদস্য হলো বাংলাদেশ। লাওসে এই জোটের নবম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশকেও পূর্ণ সদস্য করার কথা ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এ জোটের গুরুত্ব ও ভূমিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ও ভাবনার ওপর আলোচনা করেন।
লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এশিয়া ও ইউরোপের ৫১ দেশীয় জোট আসেমের শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা যোগ দেন।
দুই দিনব্যাপী অধিবেশনের শুরুতেই নতুন ৩ সদস্য হিসেবে নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের নাম ঘোষণা হয়। একে একে বেজে ওঠে তিন দেশের জাতীয় সঙ্গীত। তিন দেশের পতাকা ও রাখা হয় মঞ্চের সামনে।
শুভেচ্ছে বক্তব্য দেন প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই জোটের লক্ষ্য অর্জনে সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবধরণের সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
এবারের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হলো : ‘শান্তির জন্য বন্ধুত্ব : সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব।’ এর লক্ষ্য এশীয় ও ইউরোপীয় ৫১টি দেশের মধ্যে পারস্পারিক সমঝোতা, শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জোটগত তৎপরতা অটুট রাখা। এসব বিষয়ের পাশাপাশি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের জাতিগত দাঙ্গা বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
সদস্যের মধ্যে রয়েছে : অস্ট্রেলিয়া, চীন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, রাশিয়া যুক্তরাজ্যসহ মোট ৫১টি দেশ। ১৯৯৬ সালে ৪৮টি দেশের অংশগ্রহণে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এশিয়া ইউরোপ মিটিং এর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে আসেম।