পুলিশি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানী শহর ঢাকা। সোমবার সকাল থেকেই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয় সরকার।
রবিবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নয় নেতা ও রাজনৈতিক অন্যান্য নেতার মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে জামায়াতের ঘোষিত ৯ দিনের কর্মসূচির প্রথমদিনেই এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সোমবার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিশেষ করে কাকরাইল, পল্টন, শাহবাগসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে দেখা গেছে অতিরিক্ত পুলিশের অবস্থান।
এছাড়াও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং এর আশপাশে প্রায় শতাধিক পুলিশকে সতর্কাবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি নুরুল ইসলাম জাস্ট নিউজকে জানান, জামায়াত যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করতে চায়। এভাবে শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার আশঙ্কা থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জনগণ যেন নির্ভয়ে চলাফেরা ও তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে সে কথা বিবেচনা করেই সরকার অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।
জামায়াতের কর্মসূচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত জোরদার করা হয় কেন জানতে চাইলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, অতীতে জামায়াতের কর্মসূচিতে নাশকতামূলক ঘটনা ঘটেছে। তারা তাদের কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সেজন্য জামায়াতের আজকের কর্মসূচিকে সামনে রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরেই মোতায়েন করা হয়েছে শতাধিক পুলিশ।