মন্ত্রিসভা আজ দ্রুত বিচার আইনের মেয়াদ আরো দু’বছর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনতে সেকেন্ডারি মার্কেটের জন্য কিছু বিশেষ আর্থিক সুবিধা ও কর সুবিধা প্রদানের প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে দ্রুত বিচার (সংশোধনী) আইন ২০১২-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০২ সালে এই আইনটি প্রণীত হওয়ার পর থেকে প্রতি দু’বছর অন্তর আইন কার্যকরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রেস সচিব আজাদ আরো জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে জনগণকে উৎসাহিত করতে বিদ্যমান আয়কর আইন সংশোধনীর প্রস্তাবও মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। সংশোধনীতে আইপিও ও সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার ক্রয় এবং মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ কর রেয়াত পাবে। সংশোধনীতে শেয়ারবাজারে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য উৎসে কর ০.১০ ভাগ থেকে কমিয়ে ০.০৫ ভাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করার বিষয়ে সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। আজাদ আরো জানান, মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল ওয়েজ এন্ড প্রডাক্টিভিটি কমিশন ২০১০-এর সুপারিশে সম্মতি দিয়েছে। এতে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ৪ হাজার ১৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ বেতন ৫ হাজার ৬শ’ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের জন্য প্রতি মাসে চিকিৎসা ভাতা ৭শ’ টাকা, যাতায়াত খরচ ১৫০ টাকা ও টিফিন ভাতা ১৫০ টাকা এবং বছরে দু’টি উৎসব ভাতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। |