শেরপুরে পুলিশি বাধার কারণে ১৮ দলীয় সমন্বয় কমিটির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। রেলের ভাড়া বৃদ্ধি, সংশোধিত কোম্পানী আইনে প্রশাসক নিয়োগ, শেয়ার বাজার কেলেংকারী, হলমার্ক কেলেংকারী, পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি, দখলবাজির মাধ্যমে দেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৮ দলীয় সমন্বয় কমিটি, শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ৪ নভেম্বর রোববার বিকেলে জেলা বিএনপির রঘুনাথ বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এদিকে রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামীর শেরপুর জেলা আমীর ডা. মো. শাহাদাত হোসেইনকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে।
আজ রোববার রাত ৭টায় বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশ অনুষ্ঠানে পুলিশি বাধার এ অভিযোগ করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সমন্বয় কমিটির আহবায়ক এ.কে.এম ছাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেলা আমীর ডা. মো. শাহাদত হোসেইন, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি মো. আব্দুর রশীদ বিএসসিসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের মদদে শেরপুরের পুলিশ প্রশাসন নিলর্জ্জভাবে তাদের রাজনৈতিক অধিকারকে পদদলিত করে আজ রোববারের সমাবেশে বাধা প্রদান করে। পুলিশ সমাবেশের প্রচার কাজের জন্য মাইক বের করতে দেয় নি এবং আজ বিকেলে তিনটার দিকে সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য মাইক লাগানোর সময় পুলিশ বাধা প্রদান করে। এ ঘৃন্য অগণতান্ত্রিক কাজের জন্য তারা জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। ভবিষ্যতে তাদের দলীয় রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক কর্মকান্ডে বাধা প্রদান করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ দায়ি থাকবেন বলে সম্মেলনে হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
১৮ দলীয় সমন্বয় কমিটির অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সমন্বয় কমিটির সমাবেশ অনুষ্ঠানে বা মাইকে প্রচার কাজে কোনো ধরণের বাধা প্রদান করা হয়নি। তবে সমাবেশের নামে শহরে আইন শৃংখলা পরিস্থির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হলে সে ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দলীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়ে দেয়া হয়।