বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ওপর জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, “কয়লা পরিবেশ বান্ধব নয়, কিন্তু কয়লা ছাড়া উপায় নেই।“
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে `বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ)` শর্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনপিটিসি`র যৌথ উদ্যোগে গঠিত `বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডকে রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি।
শিগগিরই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানান মন্ত্রী।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, “বাগেরহাটের রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং পরিবেশবাদী সংগঠন বাপার সঙ্গে বৈঠক করবে সরকার।“
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, “আগামী ২০ বছরে যে পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে তার অর্ধেক উৎপাদন হবে কয়লা দিয়ে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ কয়লার প্রয়োজন হবে তার অর্ধেক আমদানি করতে হবে। আর অর্ধেক আমাদের সাপ্লাই রয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সব দেশ এক সময় কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতো। ১৯৬১ সালের পর প্রথম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হয়।”
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, “সরকারী প্রচেষ্টায় দেশে যে বনায়ন হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কম রয়েছে। আমাদের বৃহৎ স্বার্থে বেলা ও বাপাকে বোঝানো উচিত।”
দূষণ কমানোর যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে রামপালের কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে পরিবেশবান্ধব করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জাতীয় রপ্তানি নীতি ২০১২-২০১৫ অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়।