ড্রেজিং সম্পন্ন হলে মংলা বন্দর আরও গতিশীল হবে: নৌ পরিবহনমন্ত্রী

মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবার এলাকায় ড্রেজিং সম্পন্ন হলে বন্দরটি আরও গতিশীল হবে এবং জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি পাবে। এজন্য ১২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে মালেশিয়ার আইএনএআই কিয়ারা নামের প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদারি দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে যা আগমী ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।

 

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান শুক্রবার সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে মংলা বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ষষ্ঠ সভায় এসব কথা বলেন।

 

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী আরও জানান দেশের ৫৩টি নৌপথের মধ্যে ৩৬টি নৌপথ খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলোর খনন সম্পন্ন হলে খুলনা-ঢাকা স্টিমার সার্ভিসসহ অন্যান্য নৌযোগাযোগ আবার চালু হবে।

 

সভায় পূর্বের সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতির দীর্ঘ আলোচনা শেষে নতুন কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরমধ্যে খুলনা কাস্টম হাউজ, বিভিন্ন ব্যাংক, শিপিং কর্পোরেশন অফিস, বিভিন্ন ইস্যুরেন্স, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ও বিএসটিআই এর অফিস মংলায় স্থানান্তর, মংলাবন্দর দিয়ে সরকার নির্ধারিত আমদানিকৃত খাদ্যশস্যের ৪০শতাংশ আমদানি অব্যাহত রাখা, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত সার ও অন্যান্য পণ্য বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা নেয়া, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা, মংলা হতে চালনায় অবৈধভাবে পণ্য খালাস বন্ধ করা; বন্দরের অবৈধ দখলদারদের অবিলম্বে উচ্ছেদ এবং মালটিপারপাস জেটি ও কন্টেইনার জেটি নির্মাণ উল্লেখযোগ্য।

 

এছাড়া বন্দরের স্পেসরেন্টে গাড়ি রাখার সুবিধা অব্যাহত রাখা, নিয়মবহির্ভূত বিদেশগামী জাহাজ আটক, রুজভেল্ট জেটির উন্নয়ন, পশুর চ্যানেলের বয়া সংস্কার ও প্রতিস্থাপন, পশুর, মংলা ক্রিক ও রামপাল-ঘটিয়াখালী চ্যানেল ড্রেজিং, বন্দরে তেলের ডিপো, বিদ্যুৎ প্লান্ট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভাসমান ক্রেন এর ব্যবস্থা রাখাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

 

সভায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান কমডোর এমএকে আজাদ, ডিআইজি মেজবাহ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভার পূর্বে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী খুলনা নৌবন্দর ও রুজভেল্ট জেটি পরিদর্শন করেন।

অর্থ বাণিজ্য