এশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর ৪৮ জাতি ফোরামের সম্মেলন �এশিয়া-ইউরোপ মিটিং সামিটে� যোগ দিতে লাওসে যাওয়ার আগে ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ এ বিমানটি হ্যানয়ে পৌঁছায়।
হ্যানয়ের নোই বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। দুটি শিশু ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেয়।
ভিয়েতনামের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লে লুওং মিন বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। হ্যানয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার হো চি মিনের স্মৃতিস্তম্ভ ও ভিয়েতনামের শহীদদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি একটি সেমিনারে যোগ দেবেন এবং ভিয়েতনামের শিল্প ও কৃষি ব্যবস্থা ঘুরে দেখবেন।
ভিয়েতনাম থেকে রোববার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের উদ্দেশে হ্যানয় ত্যাগ করবেন শেখ হাসিনা। ওইদিনই তিনি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে লাও প্রজাতন্ত্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
৫ নভেম্বর সোমবার লাও জাতীয় সম্মেলন কেন্দ্রে নবম নবম �এশিয়া-ইউরোপ মিটিং সামিট অব হেডস অব স্টেট অ্যান্ড গভার্নমেন্ট� এ অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
এবারের এই শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য �শান্তির জন্য বন্ধুত্ব, সমৃদ্ধি অর্জনে অংশীদারিত্ব�।
এই সম্মেলনে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে এশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ছয় দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। এছাড়া এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক এবং সংসদের প্রধান হুইপ আবদুস শহীদ প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে শাহজাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।