তার কাছে প্রাইভেট না পড়ায় তুচ্ছ অজুহাতে এহসান রফিক নামে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন সাইদুর রহমান নামে এক স্কুল শিক্ষক!
রোববার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের ভুষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ছাত্র কালীগঞ্জ নুরআলী কলেজের অধ্যাপক ও স্থানীয় প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্টুর ছেলে।
ভুষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এহসান রফিক জানায়, বীজগণিতের অংকে ব্রাকেট না দেওয়ায় তাকে ওই স্কুলের অংকের শিক্ষক সাইদুর রহমান বেদম মারপিট করেন।
শিক্ষকের মার খেয়ে এহসান অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. আব্দুস সাত্তার রিপনের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। এহসানের হাত ও দুই উরুতে আঘাত লেগেছে।
আহত ছাত্রের অভিভাবক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু জানান, তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়তে প্রলুব্ধ করেন শিক্ষক সাইদুর রহমান। পরে কোনো সাড়া না পেয়ে তাই অংকে ব্রাকেট না দেওয়ার অজুহাতে তাকে মারপিট করা হয়।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনজুমার আরা বেগম জানান, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মারধর করা আইনত নিষিদ্ধ। বিষয়টি তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ছাত্রকে পেটানোর কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অসাবধানতাবশত একটু বেশি লেগে গেছে মনে হয়!’
তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রাইভেট না-পড়ার কারণে আমি তাকে মারিনি।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।