কাফকো পুরোপুরি বন্ধ, আশঙ্কামুক্ত সিইউএফএল

কাফকো পুরোপুরি বন্ধ, আশঙ্কামুক্ত সিইউএফএল

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রতিষ্ঠিত বহুজাতিক সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানাটিতে উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) পর্যাপ্ত গ্যাস দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার পর কাফকো কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে।

এর আগে গ্যাস ঘাটতির কারণে গত শুক্রবার ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত শুধু অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টটি চালু ছিল।

এ প্রসঙ্গে কাফকোর মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) বি এম জহির বাংলানিউজকে বলেন, ‘কেজিডিসিএল বলেছে- আমাদের ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট  গ্যাস সরবরাহ করবে। কিন্তু ওই গ্যাস দিয়ে আমাদের কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই ইউরিয়ার পর অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বন্ধের আগ পর্যন্ত কাফকো ৩২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করছিল।

এদিকে কাফকো বন্ধ করে দেওয়ায় কারণে সিইউএফএলে গ্যাসের চাপ বাড়ায় তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা মুক্ত হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বজলুর রহমান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের ন্যূনতম ৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হলেও আজ (রোববার) বিকেলে গ্যাসের চাপ কমে ৪০ মিলিয়নের নীচে নেমে এসেছিল। এতে প্রত্যেকটা পয়েন্টে গ্যাসের প্রেসার সর্ব নিম্ন পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ইউরিয়া প্ল্যান্ট চালু রাখতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সাড়ে ৫টার পর কাফকো বন্ধের প্রক্রিয়া  শুরু হলে সিইউএফএল আশঙ্কামুক্ত হয়।’

এর আগে কেজিডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুসারে কাজ করছি। গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকায় একসাথে দু’টি সার কারখানায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একটি বন্ধ রেখে অপরটি চালু রাখতে হবে। তাই সিইউএফএল যাতে বন্ধ করতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও আজ সংস্থাটি সরবরাহ করেছে ২১১ মিলিয়ন ঘনফুট। সাঙ্গুর উৎপাদন কমে ৫ মিলিয়নে নেমে আসা ও জাতীয় গ্রীড থেকেও প্রয়োজনীয় গ্যাস না পাওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিশাল ঘাটতি মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। অথচ ২৫ দিন মাস আগেও সংস্থাটি দৈনিক ২২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতো।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর