চীনের পর মালয়েশিয়ায় মিলল এইচএমপিভি ভাইরাস

চীনের পর মালয়েশিয়ায় মিলল এইচএমপিভি ভাইরাস

মালয়েশিয়াতে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নতুন আতঙ্ক দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।

এইচএমপিভি ২০০১ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়।
এইচএমপিভি একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নীচের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। সব বয়সের ব্যক্তিদের প্রভাবিত করলেও শিশু, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভাইরাসটি ঝুঁকিপূর্ণ।

ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসাধারণকে মাস্ক ব্যবহার ও বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এইচএমপিভি ভাইরাসের কারণে সাধারণত ঠাণ্ডা জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শীতের মৌসুমে ভাইরাসটি বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।

বর্তমানে চীনের বিভিন্ন প্রদেশে এর দ্রুত বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চীনের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুদিন আগে ফ্লু-জাতীয় রোগের হার বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছিল।

চীনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) পরিস্থিতির আলোকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সম্ভাব্য ভাইরাল প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ডেপুটি প্রিমিয়ার দাতুক আমার ডাঃ সিম কুই হিয়ান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

এইচএমপিভি অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। কাশি ও হাঁচি, সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলানো বা স্পর্শ করা ও সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ করার মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।

সূত্র : ফিনান্সিয়াল টাইমস।

Agriculture Beauty Fashion Feature political sports Technology আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর