জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা ও নৃত্যশিল্পী অঞ্জনা রহমানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গণে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর বনানী কবস্থানে শায়িত করানো হবে তাকে। শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর গণমাধ্যমকে এমনটিই জানিয়েছেন।
মিশা সওদাগর জানিয়েছেন, ‘এফডিসিতে জানাজা শেষে অভিনেত্রীর দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
পরিবারের সাথে কথা বলে জেনেছি, তাদের প্রথম চয়েস বনানী কবরস্থান, সেখানে কোনো কারণে দাফন করা না গেলে জুরাইন কবরস্থান বিকল্প হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে।’ এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে হাসপাতাল থেকে প্রখ্যাত অভিনেত্রীর মরদেহ তার বাসায় নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অঞ্জনা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ছেলে নিশাত মণি গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, জ্বর ও রক্তে ইনফেকশনজনিত কারণে গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অঞ্জনা নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করেছেন অঞ্জনা। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।