অবাক পৃথিবীতে অবাক কান্ড ! হাতির মুখে মানুষের ভাষা !!

অবাক পৃথিবীতে অবাক কান্ড ! হাতির মুখে মানুষের ভাষা !!

দক্ষিণ কোরিয়ার এভারল্যান্ড চিড়িয়াখানার ‘কোশিক’ নামের একটি হাতি কোরীয় ভাষা শিখেছে। মানুষের মতো কোরীয় ভাষায় কোশিক যেসব শব্দ উচ্চারণ করে, তা স্থানীয় ভাষা জানা লোকেরা সহজেই বুঝতে পারে। সম্প্রতি ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
হাতি কীভাবে মানুষের ভাষা নকল করা শিখেছে—এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য গবেষকেরা জানাতে পারেননি।
এ ব্যাপারে ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টিগার ও টেকামসে ফিচ জানান, ছোটবেলা থেকে চিড়িয়াখানায় মানুষের কাছাকাছি থেকে মানুষের ভাষা রপ্ত করেছে কোশিক। সামাজিক আচরণ শেখার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মানুষের সাহচর্য পেয়েছে কোশিক। এতে মানুষের ভাষা আয়ত্তে এসেছে তার।
গবেষকেরা জানান, কোশিক মুখ ও
শুঁড়ের ব্যবহার করে পাঁচটি কোরীয় শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। শব্দগুলো হচ্ছে, ‘হ্যালো’, ‘বসুন’, ‘না’, ‘শুয়ে পড়ুন’ ও ‘ভালো’। এসব শব্দ উচ্চারণ করতে সক্ষম হলেও এর অর্থ কোশিকের বোধগম্য কি না, তা এখনো গবেষকেরা বের করতে পারেননি।
কোশিকের ভাষা শেখা প্রসঙ্গে গবেষক স্টিগার জানান, মানুষের সঙ্গে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে মানুষের ভাষা রপ্ত করেছে কৌশিক। ভাষা শেখার এ বৈশিষ্ট্য প্রাণিজগতের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে লক্ষ করা যায়।
হাতি ট্রাকের ইঞ্জিনের শব্দ অনুকরণ করে শব্দ করতে পারে, কাজাখস্তানের চিড়িয়াখানার হাতি রুশ ও কাজাখ শব্দ উচ্চারণ করতে পারে—এমন তথ্য এর আগেও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করে তা দেখা হয়নি। কোশিকের ক্ষেত্রে প্রথমবার কথা বলতে পারার বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে প্রমাণ পেলেন গবেষকেরা।
কয়েক বছর আগে থেকে কোরীয় ভাষায় কথা বলে চিড়িয়াখানার দর্শকদের নজর কাড়তে শুরু করে কোশিক। কোশিককে পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কোরিয়ান ভাষা জানা ব্যক্তিদের তার উচ্চারিত শব্দগুলো লিখে রাখতে বলেছিলেন গবেষকেরা। এতে, দেখা গেছে পাঁচটি কোরীয় শব্দ জানে কোশিক।

আন্তর্জাতিক