শুক্রবার, ৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৫ ভাদ্র ১৪৩১
EN
শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন বন্যা কবলিতদের জন্য বাংলাদেশকে তুরস্কের সহায়তা জয়পুরহাটে শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ নিশ্চিতকরণে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন পরিত্যক্ত হ্যারিস প্রথম সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে ইউএস ট্রাম্পের পৃষ্ঠা চালু করতে প্রস্তুত
শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন
বাসস
৩০ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪৪
facebook sharing buttonmessenger sharing buttontwitter sharing buttonwhatsapp sharing button
ঢাকা, ৩০ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এক টেলিফোন কলের মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আজ শুক্রবার টেলিফোনে প্রধান উপদেষ্টাকে তার শুভ কামনা জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দু’টির মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের স্বার্থে বাস্তবিক সহযোগিতায় রূপান্তরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একথা জানায়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বে একটি বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় ফোন কল এবং অভিনন্দন বার্তার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের বন্যার্তদের প্রতি পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদার করারও আহ্বান জানান।
সার্ক প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে ড, ইউনূস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সার্ককে একটি শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যত দ্রুত সম্ভব সার্কের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের আয়োজনের ওপর জোর দেন।
শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের পরামর্শ এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তারও ওপর জোর দেন।