মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দৈনন্দিন লেনদেন পরিচালনায় ব্যবহৃত অমনিবাস হিসাবে কোন ধরনের জটিলতা নেই বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
রোববার পূর্বানী হোটেলে পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংগঠনের নেতারা একথা বলেন ।
এসময় তারা আরো বলেন, অমনিবাস হিসাব পরিচালনায় কোন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হলে তা নিরসনে সংশোধনীর প্রয়োজন হলে তা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
পুঁজিবাজার ধসের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অমনিবাস হিসাবকে ‘ভূতুড়ে একাউন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকয়কটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগও তুলে ধরা হয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জনতা ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটা দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলন্ত একটি বিষয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (এসইসি) সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে একাধিক এ বিষয়ে বৈঠক করেছে। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, ইসি সিকিউরিটিজের সিইও তানজিল চৌধুরী ও ব্র্যাক ইপিএলের সিইও খালিদ ইউসুফ ফরাজী। সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএ’র সভাপতি মুহাম্মদ এ হাফিজ।
এর আগে উদ্বোধনী পর্বে এসইসির সদস্য আবদুস সালাম সিকদার বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অমনিবাস হিসাবের অধীনে অনেক নিয়ম বহির্ভুত কর্মকা- চালানো হচ্ছে, যা বাজারের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মার্জিন ঋণ বিতরণের ব্যাপারে অধিকাংশ মার্চেন্ট ব্যাংক আইন ভঙ্গ করেছে। নন মার্জিন শেয়ারেও তারা ঋণ দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়।
এসইসির আরেক সদস্য আরিফ খান বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর তাদের মূল কাজ থেকে সরে এসেছে। তারা এখন শুরু মার্জিন ঋণ ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নতুন ইস্যু নিয়ে আসা, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা ও আন্ডার রাইটিংয়ের কাজে জোর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে নতুন সম্ভাবনার জন্ম নেয়। তাই আগামীতেও শেয়ারবাজারে স্থিতিশীল হবে।