অপ্রত্যাশিত ভাবে রিচার্ড পাইবাস বিদায় নেওয়ায় জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে বোলিং কোচ শেন জার্গেনসেনের হাতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে তিনিই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ। গত এক বছর ধরে জাতীয় দলের বোলিং কোচের দায়িত্ব থাকায় জার্গেনসেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের উপযুক্তও বটে।
ভারপ্রাপ্ত হলেও টেস্ট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারাও অনেক সম্মানের। জার্গেনসেন তা বললেনও, ‘আমি খুব উৎফুল্ল এই সুযোগ পেয়ে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হতে পারা খুবই সম্মানের। তাদের সঙ্গে গত এক বছর কাজ করে সত্যিই খুব আনন্দ পেয়েছি। তারা খুবই প্রতিভাসম্পন্ন ক্রিকেটার। আশা করি আসন্ন সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলবো। ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে যে কোন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে।’
জার্গেনসেন ছুটি কাটিয়ে দুই দিন হয় অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। বুধবার গিয়েছিলেন ক্রিকেট বোর্ড কার্যালয়ে। পাইবাস যে কাজটি করতেন জার্গেনসেন এখন সেটাই করছেন। জাতীয় দল নির্বাচকদের সঙ্গে বসে আলাপ আলোচনা করেছেন ক্যাম্প নিয়ে। নির্বাচকদের কাছ থেকে দল সম্পর্কেও একটা ধারণা পেয়েছেন। প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, ‘সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতিটাই আমরা নিচ্ছি। চারদিনের ম্যাচ খেলছি। লিগে প্রথম ম্যাচে খুব ভালো কিছু পারফরমেন্স হয়েছে। কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার খুব ভালো খেলেছে। আমার মনে হয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তাদের নাম উঠে আসবে। সামনে আরও চারদিনের ম্যাচ আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একটি ম্যাচ আছে। অতএব তিনটি বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচ প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট।’
শুক্রবার থেকে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হয়ে চলবে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ। তবে ১১ তারিখের আগে সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছেন না জার্গেনসেন। ব্যাটসম্যানদের অধিকাংশই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন।
সে যাই হোক, প্রায় এক বছর পর টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তাও ফর্মে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ভালো খেলা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। বিষয়টি উড়িয়ে দেননি কোচ জার্গেনসেন, ‘তাদের ভালো মানের কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। নারায়ন এবং গেইল ভালো ক্রিকেট খেলছে এবং তারা খুব আত্মবিশ্বাসী। অতএব সিরিজটি নি:সন্দেহে চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু আমি নিশ্চিত হোমে আমরা ভালো খেলবো। এশিয়া কাপে যেমন খেলেছি, এবারও খেলবো।’
পেস বোলার রুবেল হোসেন চোট কাটিয়ে খেলায় ফেরায় খুশি জাতীয় দলের প্রধান কোচ, ‘চোটে পড়ার আগে রুবেলের পারফরমেন্স খুব ভালো ছিলো। সে অনেক উন্নতি করেছে। যে কোন উইকেটে ভালো বল করতে পারতো। সে এখন ফিট, নেটে বল করছে।’
জাতীয় দলের আরেক পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলছেন না। বোঝাই যাচ্ছে তিনি টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে এখনই ভাবছেন না। কোচও মাশরাফিকে এখনই ধরেবেঁধে টেস্ট খেলানোর পক্ষে না।