প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি চলে গেলেও এখনো ভয়াবহ জের রয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। অর্থনীতিবিদরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় চার হাজার ৫০০ কোটি (৪৫ বিলিয়ন) ডলার হবে বলে ধারণা করছেন।
বুধবার খুলছে নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। তবে এখানে কেবল ফ্লাইট অবতরণ করতে পারবে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এদিকে, এদিনই খুলেছে নিউইয়র্কে বিশ্বের বৃহত্তম পুঁজিবাজার ওয়াল স্ট্রিট। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তা বন্ধ ছিল।
কয়েকটি রাজ্যের ৬৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে নিউইয়র্কের ম্যানহাটন থেকে বাংলানিউজের পাঠক অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, ২৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় সময় রাত ১টায় বিদ্যুৎ এসেছে।
স্যান্ডির আঘাতে বহু মানুষ সবকিছু হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্থানীয় সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সহায়তায় এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমেরিকা আপনাদের সঙ্গেই আছে। এতে পুরো জাতির হৃদয় আজ ক্ষতবিক্ষত।” স্যান্ডির আঘাত হানার পর এখন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করা হচ্ছে।
গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে ৮০ মাইল বেগে সামুদ্রিক এই ঝড় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের ৮০০ মাইল জুড়ে আঘাত হানে। ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় জলোচ্ছ্বাস। নিউইয়র্কে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছিল ১৪ ফুটের মতো। এর ফলে শহরের নিচু এলাকা, ম্যানহাটন পুরোপুরি প্লাবিত হয়।
প্রেসিডেন্ট ওবামা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিকে উপদ্রুত এলাকা বলে ঘোষণা করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে বুধবারই পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে আরও সময় লাগবে। সাবওয়ে সিস্টেম অনেকাংশেই অকেজো হয়ে পড়েছে। সাতটি সাবওয়ে টানেল পানির নিচে রয়েছে। এগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।