শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হারতে হয়েছে। তবে টিকে আছে সুপার এইটের সম্ভাবনা। এজন্য হারাতে হবে নেদারল্যান্ডসকে। তাহলেই পরের পর্বে ওঠার কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। এমন বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ডাচ অধিনায়ক। আগে ব্যাট করতে নেমে শান্ত-লিটনের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে সাকিবের অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ও তানজিদ হাসান তামিম। ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করে দুই ওপেনার। ডাচদের বিপক্ষে প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান তোলে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ বলে নিজের রানের খাতা খোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এরপরের ওভারে আর দুই বল খেললেন, রান যোগ করতে পারেননি একটিও। উল্টো বাজে ভাবে রিভার্স সুইপ করে ফার্স্ট স্লিপে বিক্রমজিৎ সিংকে ক্যাচ দেন শান্ত। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৩ বল খেলে ১ রান করেন তিনি। আগের দুই ম্যাচের মতো আজও ব্যাট হাতে ব্যার্থ টাইগার অধিনায়ক।
শান্তর বিদায়ে উইকেটে আসেন লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন তামিম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দুই চার ও এক ছয়ে আঠেরো রান নেন তানজিদ। চতুর্থ ওভারে শুরুর বলেই আরিয়ান দত্তকে সুইপ শট করেন লিটন। স্কয়ার লেগ অঞ্চলে উড়তে যাওয়া বলে অসাধারণ ক্যাচ নেন সাইব্রান্ড এংগেলব্রেচট। তাতে ২ বলে ১ রান করে প্যাভিলয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম। ডাচ বোলারদের ওপর চড়াও হন সাকিব। তাতে পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত শুরু পায় টাইগাররা। এই দুই ব্যাটারে ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ৭১ রানে তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সাজঘরে যাবার আগে ২৬ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। এরপর বাইশগজে ব্যাট হাতে আসেন তাওহীদ হৃদয়।
তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব। তবে দলীয় ৮৯ রানে হৃদয় আউট হলে ভাঙে এই জুটি। যাবার আগে ৯ রান করেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন সাকিব। একই সঙ্গে নিজের অর্ধশতকও তুলে নেন টাইগার অলরাউন্ডার। এই দুই ব্যাটারে ৪১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে ব্যার্থ হন রিয়াদ। দলীয় ১৩০ রানে ২১ বলে ২৫ করে আউট হন রিয়াদ।
শেষ দিকে জাকের আলীর অপরাজিত ১৪ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। নেদারল্যান্ডসের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত ও পল ফন মিকিরেন।