সোশ্যাল মিডিয়া ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে ফুড ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা ব্যক্তি ইফতেখার রাফসান ওরফে ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’-এর বিরেুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবরে নানা ধরনের আলোচনা ও চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনুমোদনহীন ব্লু ড্রিংকস বাজারজাতকরণের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে রাফসানের বিরুদ্ধে। বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর এ আদেশ দেন।
ব্লু ড্রিংকস পানীয়টি অনুমোদনহীন হওয়ায় এর আগে এক আবেদন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন। তিনি আবেদনে বলেন, ব্লু-এর কোনো অনুমোদন নেই। এমনকি ওষুধ প্রশাসনও জানে না, এটি ওষুধ নাকি পানীয়। আর তার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা নগরীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ব্লু ড্রিংকস কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। যা গত ১৭ মে নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই সময় ইফতেখার রাফসানের ব্লু ড্রিংকস (BLU) তৈরির কারখানায় মানহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরি করার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের ১৪ মে বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। একইসঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের ৫, ৬ ও ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ এবং টারবো, এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়।
এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।