বিশ্বকাপ আসে বিশ্বকাপ যায়, তবে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের খুব একটা পরিবর্তন হয় না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছে টাইগাররা। চলমান আসরেও একই লক্ষ্য তাদের, অবশ্য এখন পর্যন্ত তাদের সামনে সেই সুযোগ রয়েছে। যে সুযোগটি তৈরি হয়েছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোয়। যদিও গতকাল (রোববার) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে জিততেও হেরে গেল বাংলাদেশ। তবুও আশা ছাড়ছেন না তাওহীদ হৃদয়।
৪ রানে হারের পর দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মোলনে এসেছিলেন হৃদয়। এ সময় জানান বাংলাদেশ সেমিফাইনাল বা ফাইনাল খেলার মতো সামর্থ্য রাখে। ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু সুপার এইট না, আমরা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমার বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসটা আছে।’
চলমান বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছেন না দলের বাকি ব্যাটাররা। হৃদয় মনে করেন তারা চলতি টুর্নামেন্টেই ঘুরে দাঁড়াবেন, ‘ব্যাটাররা রান করছে না, প্রত্যেক ম্যাচেই সব দলের সবাই রান করে না, ১-২ জন খেলে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, এখানে ১১ জন খেলে না। যে ২-৩ জন খেলবে, সেদিন যেন খেলাটা শেষ করতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যাটাররা রান করছে না, ইনশা আল্লাহ সামনের ম্যাচগুলোতে করবে। আশা করি তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াব।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় অভিযোগ টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে। যা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পর চলতি বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে। তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাদে বাকিরা সেভাবে ভরসা হতে পারছেন না। যার নেতিবাচক প্রভাব সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকে শুরু করে এই ম্যাচেও পড়েছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ ৪৪ রানের জুটিও এসেছে হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ’র কল্যাণে।
এই ম্যাচ জিতলে সুপার এইটে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে যেত বাংলাদেশ। এখন তাদের পরবর্তী দুটি ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যে নামতে হবে। আজকের ম্যাচ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যায় শেষ হলো টাইগারদের, বাকি দুই ম্যাচে শান্তরা নেদারল্যান্ডস ও নেপালের মোকাবিলা করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটন ওভালে।