বাংলাদেশের চার রানের হার আর দক্ষিণ আফ্রিকার সুপার এইট নিশ্চিতের দিনে সব আলো যেন কেড়ে নিয়েছেন দুই আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি এবং রিচার্জ ইলিংওর্থ। পরপর দুটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত একেবার কাছাকাছি গিয়ে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শেষ বলে গিয়ে নির্ধারিত হয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। তাতে জয়ের পাশাপাশি সুপার এইটও নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে তাদের এমন জয় নিয়ে আছে বিতর্ক। সবচেয়ে বড় বিতর্কটা ডেডবল ইস্যুতে। ইনিংসের ১৭তম ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে খানিকটা আড়াআড়িভাবে গিয়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেটের জন্য আবেদন করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তে খানিকটা দ্বিধা নিয়েই আঙুল তুলেছিলেন অনফিল্ড আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি। আম্পায়ার যখন আঙুল তুলছেন আউটের, ততক্ষণে বল সীমানাছাড়া। রিয়াদ রিভিউ নিয়েছেন, তাতে সিদ্ধান্তও বদলেছে। কিন্তু, লেগবাই থেকে চার রান বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে যুক্ত হয়নি। নোগাস্কি বলটিকে ডেডবল ঘোষণা করেন।
পরে ম্যাচের ভাগ্যটাও নির্ধারণ হয়েছে ওই চার না হওয়ার সুবাদে। দেশের সাধারণ ক্রিকেটভক্তদের পাশাপাশি সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত আছেন ভারতের সাবেক ব্যাটার ওয়াসিম জাফর।
নিজের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টে ভারতের সাবেক এই ব্যাটার বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে ভুলভাবে লেগ বিফোর উইকেট আউট দেয়া হয়েছে। লেগ বাই হয়ে বলটা চার হয়েছিল। ডিআরএসে সিদ্ধান্ত বদলে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ চার রান পায়নি কারণ একবার যখন ব্যাটার আউট দেয়া হয় তখন বল ডেড হয়। যদি এটা ভুলভাবেও হয়। এবং সাউথ আফ্রিকা শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতেছে। বাংলাদেশের জন্য খারাপ লাগছে।’
মাহমুদউল্লাহর পাশাপাশি হৃদয়ও আউট হয়েছেন বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে। কাগিসো রাবাদার বল ব্যাটে করতে না পারায় তা আঘাত হানে ডানহাতি এই ব্যাটারের প্যাডে। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার্স কলের কারণে ফিরে যেতে হয়েছে হৃদয়। ম্যাচ শেষে তাই আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনিও।
সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয়ের মন্তব্য, ‘সত্যি বলতে এটা গুড কল ছিল না। ম্যাচটা টাইট ছিল। আম্পায়ার আউট দিয়ে দিলেন। আমাদের জন্য এটি মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ৪ রান হলে ম্যাচের দৃশ্য বদলে যেত। এ নিয়ে আমার আর কিছু বলা ঠিক হবে না।’