তিস্তা অভিমুখে জাতীয় পার্টির লংমার্চকে কেন্দ্র করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে রংপুরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
লংমার্চ উপলক্ষে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় চলছে ব্যাপক প্রচারাভিযান। একইসঙ্গে চলছে সভা, সমাবেশ ও মিছিল।
লংমার্চকে ঘিরে তৃলমুল নেতাকর্মীরা মনে করছেন, গত সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি রংপুর অঞ্চলে যে আসনগুলো হাতছাড়া করেছিল সেগুলো ফিরে পেতে পার্টির চেয়ারম্যান যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা হয়তো কাজে আসবে।
লংমার্চ সফল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন।
লংমার্চের সমন্বয়কারী জাতীয় পার্টির নেতা ও রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টায় বনানী থেকে ২ হাজার গাড়ির বহর নিয়ে লংমার্চের নেতৃত্ব দেবেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
ঢাকার আশুলিয়া থেকে শুরু হয়ে রংপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০টি পথসভায় বক্তব্য রাখবেন পার্টির চেয়ারম্যান।
তিনি আরো বলেন, লংমার্চটি ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ১৭ জানুয়ারি রাতে রংপুরে যাত্রাবিরতি করবে।
এ জন্য নেতা-কর্মীদের থাকা ও খাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এবং রংপুরের বিভিন্ন হোটেলে ১ হাজার সিট বুকিং দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সকাল ১১টায় রংপুর জিলা স্কুলের মাঠ থেকে লংমার্চটি তিস্তা অভিমুখে রওনা হবে। সেখানে আরো ২ হাজার গাড়ির বহর থাকবে।