‘কোম্পানি আইন সংশোধন হচ্ছে না’ এমন ইঙ্গিত দিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ জানিয়েছেন ‘প্রচলিত আইনে প্রশাসক নিয়োগে একমত পোষণ করেছে সরকার।”
তবে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বিষয়টি মন্ত্রিসভায় ওঠাতে হবে। মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এ কে আজাদ। তিনি বলেন, “এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে আইন পরিবর্তন করতে হবে।”
বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিকেলে আইনজীবী, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ কে আজাদ বলেন, “প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে কোম্পানি আইন সংশোধনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রশাসক নিয়োগে দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, আমাদের দাবি ছিলো দায়মুক্তির বিধান রেখে কোম্পানি আইন সংশোধন না করা। একে আজাদ বলেন, “কোম্পানি আইনের ধারা অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগের বিধান রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আদেশ নিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে।”
তিনি বলেন, “প্রচলিত আইনের ২০৩ ধারা অনুযায়ী সাত দিনের মধ্যে কোর্ট থেকে আদেশ নিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে।”
এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, ডেসটিনি তিন হাজার ৮শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। ডেসটিনি বন্ধ হলে যারা বিনিয়োগ করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কর্মকর্তারাও চাকরি হারাবে। সে কারণে সরকার প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে কোম্পানি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়।
গত ২২ অক্টোবর ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন সংশোধন করে তৈরি খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। আইন সংশোধনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদনের পর থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
বিরোধী দল বিএনপিও এর বিরোধিতা করে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের পর বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেন বাণিজ্য সচিব।
এরপর গত ২৫ অক্টোবর বাণিজ্য সচিব সাংবাদিক বলেন, আইন সংশোধন না করেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। বিধি করে, আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করা যাবে।
বৈঠকে আইনজীবী ড. এম জহির, ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ব্যারিস্টার তপন চৌধুরী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি, বিকেএমইএ সভাপতিসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।