বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঠিক মেলে ধরতে পারলো না পাকিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচ সিরিজে দলটি হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। অপর দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তান হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে ২০ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৯.৫ ওভারে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাটলারের দল। সিরিজ জিতে নেয় ২-০ ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল পাকিস্তানের। পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তুলে তারা। যদিও শেষ বলে হারায় বাবর আজমের উইকেট। পাকিস্তান অধিনায়ক ফেরেন ২২ বলে ৩৬ রান করে। চারবল পর তাকে অনুসরণ করেন রিজওয়ান, ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপরই হঠাৎ ছন্দপতন পাকদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে ফখর জামান, শাদাব খান ও আজম খানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দলটি।
দলের বিপদে হাল ধরেন উসমান খান ও ইফতিখার আহমেদ। উসমান ২১ বলে খেলেন ৩৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে ইফতিখার ১৮ বলে ২১ ও নাসিম শাহর ১৮ বলে ১৬ রান করলে দেড়শ পার করে পাকিস্তান। তবুও পারেনি পুরো বিশ ওভার খেলতে। অলআউট হয় এক বল আগেই। ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট তুলে নেন মার্ক উড, আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
জবাব দিত নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই জয়ের ভীত তৈরি করে ইংলিশরা। দলকে ঝড়ো শুরু এনে দেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। ৬ ওভারের দু’জনে তুলে নেন ৭৮ রান। দলীয় ৮২ রান্ব ২৪ বলে ৪৫ রান করে আউট হন সল্ট। বাটলার ফেরেন ২১ বলে ৩৯ রান করে। এই দুজনকেই ফেরান হারিস রউফ। অবশ্য ইংল্যান্ড ততক্ষণে পৌঁছে যায় শতরানে। এরপর আরও একটা উইকেট নেন হারিস, এবার ফেরান উইল জ্যাকসকে। ১৮ বলে ২০ রানে আউট হন উইল। তবে দলকে জিতিয়ে আনেন বেয়ারেস্টো ও হ্যারি ব্রুক মিলে।
তাদের দু’জনের ২৭ বলে ৪৬ রানের জুটি ১৫.৩ ওভারেই নিশ্চিত করে জয়৷ বেয়ারেস্টো ১৬ বলে ২৮ ও হ্যারি ব্রুক অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ১৭ রানে।
এই জয়ে বিশ্বকাপের ঠিক আগে ঘুম ভাঙলো ইংলিশদের। অবশেষে কাটলো তাদের টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের খরা। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার পর থেকে এই ফরম্যাটে প্রথম কোনো সিরিজ জিতলো তারা। মাঝে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশের কাছেও!