দীর্ঘদিন পর আবারও রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন দল থেকে বহিষ্কৃত বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রে লবিংয়ের পাশাপাশি যশোরের শার্শা এলাকায় তিনি গণসংযোগও শুরু করেছেন।
দলে সক্রিয় হওয়ার অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে শার্শায় নিজ বাড়ির পাশে ঈদ পুনর্মিলনীর আদলে সমাবেশও করেছেন তৃপ্তি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি জানান, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে দলের অনেক নেতা নানা চাপে ও হুমকির মুখে বিএনপি এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অপ্রীতিকর মন্তব্য এবং সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে বাধ্য হন। এ সময় তিনিও চাপের মুখে রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তৃপ্তি বাংলানিউজকে আরও জানান, দেশ এখন একটি সঙ্কটময় মুহূর্ত পার করছে। এ কারণে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ জন্য তিনিও আশা করছেন, দল তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।
তৃপ্তি জানান, তিনি বিএনপির সঙ্গেই ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। শার্শা এলাকার মানুষের সঙ্গে তার সবসময়ই যোগাযোগ রয়েছে। এলাকার মানুষের পাশে থাকার কারণে তার আহ্বানে বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আসায় তা এক রকম সমাবেশে পরিণত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দলীয় চেয়ারপার্সন তাকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে সাধারণ একজন কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে যে দায়িত্বই দেবেন, তা মাথা পেতে নেবেন এবং বিএনপির জন্যই রাজনীতির মাঠে থাকবেন।
এদিকে, বিএনপির রাজনীতিতে তৃপ্তির সক্রিয় হওয়ার খবরে যশোর-১ (শার্শা) আসনের নির্বাচনী পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি এ আসনটি জোট শরীক জামায়াতকে ছেড়ে দিয়েছিল। আগামী নির্বাচনেও জামায়াত এ আসনটি তাদের প্রার্থীর জন্য চাইবে।
কিন্তু তৃপ্তি সক্রিয় হলে তিনিসহ তার সমর্থকরা বিএনপি থেকে এ আসনে তাকে মনোনয়নের জন্য জোর তৎপরতা চালাবেন। এ সব হিসাব নিকাশ মাথায় রেখে শার্শার রাজনীতিতে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।