অবশেষে ফুরালো ১৪দিনের অপেক্ষার প্রহর। জানা গেলো প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭ তম আসরের বিজয়ীদের নাম। এবারের উৎসবের সেরা ছবি হিসেবে স্বর্ণপাম জিতে নিয়েছে আমেরিকান ছবি ‘আনোরা’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শন বেকার।
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় কান চলচ্চিত্র উৎসবের মূল ভবন প্যালে ডে ফেস্টিভ্যালে বসে সমাপ্তি অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত হন মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের সব বিচারক ও উৎসব কর্তৃপক্ষসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
একে একে ঘোষণা করেন বিজয়ীদের নাম। সেরা ছবি ‘আনোরা’ ছাড়াও সেরা নির্মাতার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মিগুয়েল গোমেস। ‘গ্র্যান্ড ট্যুর’ এর জন্য পুরস্কারটি জিতে নেন তিনি।
স্বর্ণপামের পরেই গ্রাঁ পিঁ পুরস্কারকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরে নেয়া হয়। এবারের আসরে পুরস্কারটি জিতে নিয়েছে ভারতীয় ছবি ‘অল উই ইমাজিন এজ লাইট’, ছবিটি পরিচালনা করেছেন পায়েল কাপাডিয়া। এই পুরস্কারের মাধ্যমে কানের মঞ্চে ইতিহাস সৃষ্টি করলো কোনো ভারতীয় সিনেমা।
পায়েল কাপাডিয়ার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি এটি। এরআগে বেশকিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। ২০১৯ সালে ১৫ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার জিতে নেন পায়েল। সেবছর ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন (ডকুমেন্টারি) বিভাগে ‘এন্ড হোয়াট ইজ দ্য সামার সেয়িং’ এর জন্য শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রর পুরস্কার পান তিনি।
সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’। উৎসবে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিয়েছেন যথাক্রমে জো সালদানা, আদ্রিয়ানা পাজ, সেলেনা গোমেজ এবং কার্লা সোফিয়া। ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন জেসে প্লেমনস। উৎসবে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ এর জন্য জুরি প্রাইজ পেয়েছেন জ্যাক অডিয়াঁর।
এছাড়া উৎসবের ৭৭তম আসরে চিত্রনাট্যের জন্য বিশেষ পুরস্কার দেয়া হলো ইরানী নির্মাতা মোহাম্মদ রসৌলফের ‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’-কে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়াও এবার কানে ফিলিস্তিন-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব ছিল উৎসবের শুরু থেকে পুরোটা জুড়েই। এবছরের কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে ছিলো ২২টি ছবি।