ডেসটিনির ১৪৩ কোটি টাকা পাচার করেছি: দিদারুল

ডেসটিনির ১৪৩ কোটি টাকা পাচার করেছি: দিদারুল

মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ডেসটিনির ১৪৩ কোটি টাকা স্থানান্তরের কথা স্বীকার করলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম।

সোমবার ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরীর কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে তিনি এ দায় স্বীকার করেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর তাকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় দুদক। রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতে আনা হয়।

এরপর তাকে চিন্তা ভাবনা করার জন্য ৩ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। বেলা ২টায় তার জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়ে বেলা পৌনে ৪টা পর্যন্ত তা একটানা চলে।

এ পর্যন্ত তিনিসহ ডেসটিনির ৩ শীর্ষ কর্মকর্তা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিলেন।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিম‍ুলক জবানবন্দি দেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর দুপুর পৌনে দু’টায় রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের ২৪ নম্বর রোডের ৩৪০ নম্বর বাসা থেকে কাফরুল থানা পুলিশের সহযোগিতায় দিদারুলকে গ্রেফতার করে  দুদক।

গত ৫ সেপ্টেম্বর ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে থেকে জামিন পান। ২৭ সেপ্টেম্বর ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনসহ ডেসটিনির শীর্ষ কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাদের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত।

ওইদিন থেকেই দিদারুল আলম পলাতক ছিলেন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার নামে রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২টি মামলা করে দুদক।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ও ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার কোটি সংগ্রহ করে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দুই অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫৬ লাখ ও ৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ