রাজধানী খাতুর্মের একটি সমরাস্ত্র কারখানায় সম্প্রতি সংঘটিত বিস্ফোরণের পেছনে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে দাবি করেছে সুদান। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তারা। মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত ওই বিস্ফোরণে ২জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন আরও একজন।
বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইয়ারমুক মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটি নামের ওই অস্ত্র কারখানাটি। এর পেছনে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতা আছে উল্লেখ করে সুদানের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আহমেদ বিলাল ওসমান বলেন,“আমরা মনে করি ইসরায়েল সেখানে বিমান থেকে হামলা চালিয়েছে”।
‘সুদান পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে’ উল্লেখ করে পরদিন দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘সময় ও সুযোগ’ বুঝে প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম ইসরায়েলের চারটি বিমান এ হামলায় অংশ নেয় বলে দাবি করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে পাওয়া বেশ কিছু অবিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ বলে এ সময় সাংবাদিকদের জানান ওসমান।
‘জনগণ পূর্ব দিক থেকে ৪টি বিমানকে উড়ে আসতে দেখেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ছাড়া ওদিকে সুদানের কোনো শত্রু নেই।’
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে সুদান। পাশাপাশি দারফুর অঞ্চলের বিদ্রোহীদের অস্ত্র সজ্জিত করার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সুদানি দূত।
এদিকে ঘটনার পরপরই এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয় সুদানের মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি রাজধানী খার্তুমে ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দেয় শত শত বিক্ষোভকারী।
উল্লেখ্য, গত ২০০৯ সালেও সুদানের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় একটি গাড়িবহরের ওপর রহস্যজনক হামলা সংঘটিত হয়েছিলো। ইসরায়েল ওই হামলার পেছনেও জড়িত বলে দাবি করে আসছে সুদান। তবে এর সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেনি ইসরায়েল।
ওই গাড়ি বহরে করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর উদ্দেশ্যে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিলো বলে বেশ কিছু পশ্চিমা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তবে সেখানে অস্ত্র থাকার কথা প্রত্যাখ্যান করে সুদান।