সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, “চীন ও ভারত সফর করে লাভ নেই। চীন ও ভারত ভোট দেবে না। জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় যেতে হবে।”
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে আবারও সংশয় প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরের তার পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশে নির্বাচন না হলে সংবিধান বাধাগ্রস্ত হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।”
এর আগে তিনি ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান। সেখানে অভ্যর্থনা জানান দলের শীর্ষ নেতারা।
জাপা প্রধান বলেন, “জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখি দল। নির্বাচনে কেউ আসুক না আসুক জাতীয় পার্টি অংশ নেবে।”
তিনি বলেন, “টাঙ্গাইল-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার মধ্য দিয়ে এককভাবে সংসদ নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ছলচাতুরি জনগণ মেনে নেবে না।”
প্রস্তাবিত কোম্পানি আইনকে ‘অগণতান্ত্রিক, সংবিধান পরিপন্থী ও নিয়ন্ত্রণমূলক’ আখ্যায়িত করে এরশাদ বলেন, “এ আইন ব্যবসায়ীরা মেনে নেবেন না। দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখার ক্ষেত্রে এ বিধান ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবে। তিনি এ আইন কার্যকর না করার দাবি জানান।”
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কাউকে সমর্থন না দেওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, “ঈদের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে মেয়র পদটি যাতে জাতীয় পার্টির ঘরেই থাকার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মহাজোট ছাড়ার ব্যাপারে এরশাদ বলেন, “এটা সিক্রেট বিষয়। সময়ই সব বলে দেবে।”
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ মানিক, সদস্য অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কাদেরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, পীরগঞ্জ উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুর আলম যাদু প্রমুখ।
দলীয় সূত্র জানায়, জাপা চেয়ারম্যান ৪ দিনের সফরে বিকেলে রংপুরে আসেন। ঈদের পরের দিন তিনি ঢাকা ফিরে যাবেন।