খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ হলে এক ব্যক্তির একাধিকবার চাল-আটা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হবে। অন্য কোন এলাকার কার্ডধারি কি না তাও সহজে সনাক্ত হবে।এতে প্রকৃত গরীব মানুষের কাছে ওএমএস পৌঁছানো সম্ভব হবে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরের আনসার ক্যাম্প বাসস্ট্যান্ডে ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের নায্য মূল্য না দিতে পারলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারাবে। তাঁদের উৎসাহিত করতে এবার বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকার ধানের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি করেছে।
ওএমএস বিতরণে কোন গাফিলতি হলে ডিলার ও খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
এ সময় ওএমএস বিতরণে গাফলতি হলে জেল জরিমানারও হুশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৪ লাখ উপকারভোগী বিশেষ এই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা সংগ্রহ করতে সক্ষম হবেন। ভবিষ্যতে আরও অধিক সংখ্যক উপকারভোগী এই কার্ডের সুবিধায় যুক্ত হবেন।
এ সময় কার্ড প্রদানে যাতে কোন ডুপ্লিকেশন যেন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যার দিকনির্দেশনায় সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। ওএমএসের মাধ্যমে মাত্র ৩০টাকায় দেওয়া হচ্ছে। আবার ১ কোটি পরিবার ভর্তূকি মূল্যে টিসিবির মাধ্যমে চাল পাচ্ছেন।
সরকারের প্রতি কেজি চাল ক্রয়ে ৫৫ টাকার মত খরচ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,সেই চাল ভর্তূকি দিয়ে ৩০ টাকায় দরিদ্র মানুষকে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। আবার তিনিই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশের সব সেবা পর্যায়ক্রমে স্মার্ট সেবায় পরিণত হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশের মানুষকে একটু ভালো রাখতে নিরলস কাজ করছেন। ওএমএস দরিদ্র মানুষের জন্য শেখ হাসিনার উপহার।এটি বিতরণে সবাইকে দূর্নীতিমুক্ত থেকে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী ওই কেন্দ্রের উপকারভোগীদের হাতে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত ওএমএসের চাল-আটার প্যাকেট তুলে দেন।