পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমরা টেকনোলজি কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত বা বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ডিএসই’র।
ইতিমধ্যে কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে ডিএসই যেসব অনিয়ম সনাক্ত করেছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে কোম্পানি সচিব বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
ডিএসই’র ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা টেকনোলজি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করতে আর্থিক প্রতিবেদনে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছে। গত ৩০ জুন ২০১২ পর্যন্ত কোম্পানির অর্থিক প্রতিবেদনে ক্যাশ ফ্লোসহ কয়েকটি বিষয়ে কারসাজি করেছে কোম্পানিটি।
ক্যাশ ফ্লো অতিমূল্যায়িত
৩০ জুন ২০১২ পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। কোম্পানির ক্যাশ ফ্লো নির্ধারণে অপরিমাপযোগ্য সম্পদ (ইনট্যানজিবল অ্যাসেট) মূল সম্পদ ও যন্ত্রাংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যা আইনের পরিপন্থী।
চলমান সম্পদ অতিমূল্যায়িত
কোম্পানির ওই প্রতিবেদনে চলমান সম্পদকে অতি মূল্যায়িত করে দেখানো হয়েছে। কোম্পানির কাছে থাকা সম্পদ মূল্য ৮ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ৭০ টাকা বেশি দেখানো হয়েছে। যার প্রকৃত মূল্য আরও কম বলে মনে করে ডিএসই।
মূলধন স্থানান্তরে অনিয়ম
কোম্পানির মূলধন স্থানান্তরে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে ডিএসই। ডিএসই’র অভিযোগ জমি, প্লান্ট এবং যন্ত্রাংশ ক্রয়ে ১১ কোটি ৩৭ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৭ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। যা মূল খরচের চেয়ে বেশি দেখানো হয়েছে বলে মনে করে ডিএসই।
এছাড়া কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে ১ কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ২৮০ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে, যা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ না করে দায়সারাভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার বিষযে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবেদনের ত্রæটিগুলো সম্পর্কে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। যথাসময়ে ব্যাখ্যা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।