পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা। রিওতে অনুষ্ঠিত প্রথম ধরিত্রী সম্মেলনের ২০ বছর পূর্বেই বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেছিলেন। পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণে তিনি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ ও নির্মল পরিবেশের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। পাকিস্তানের শোষণ পদ্ধতির বিকল্প হিসেবে তিনি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের স্বার্থে কোনও বিভাজন থাকতে পারে না। দেশের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।